প্রশ্ন : ১৫ ॥ সামরিক কৌশলের বিশেষ উল্লেখপূর্বক বখতিয়ার খলজীর বাংলা বিজয়ের বিবরণ দাও। অথবা, মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজী কর্তৃক বাংলা অভিযানের পটভূমি উল্লেখপূর্বক তার বিজয়ের কারণসমূহ ব্যাখ্যা কর। অথবা, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজী কর্তৃক বাংলা বিজয়ের ইতিহাস আলোচনা কর।
বাংলার ইতিহাসে তুর্কি বীর ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর বঙ্গ ও বিহারের বিজয়াভিযান এক যুগসন্ধিক্ষণের ঘটনা।
বখতিয়ার খলজীর নেতৃত্বে তুর্কি বাহিনীর একটা ছোট্ট সেনাদল এক সহজ ও চমকপ্রদ বিজয় অভিযানের মাধ্যমে বাংলার সেনবংশীয় সর্বশেষ রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে এতদাঞ্চলে মুসলিম শাসনের পত্তন করেন।
তাঁর বিজয় অভিযানের ফলে বাংলায় মুসলিম শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে তাঁর বঙ্গ বিজয়কে মূল্যায়ন করে ঐতিহাসিক Dr. K. R. Qanungo বলেন - " Such is the story of Malik Muhammad Bakhtiyars Capture of the royal place of Maharaja Laxman Sen that decided forever the fate of the Hindi sovereignty of Bengal."
বখতিয়ার খলজীর প্রাথমিক জীবন:
ঐতিহাসিক মিনহাজ-উস-সিরাজের মতে, তাঁর পুরো নাম মালিক উল গাজী ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজী। তিনি জাতিতে ছিলেন তুর্কি, পেশায় সৈনিক। তিনি আফগানিস্তানের গরমশির বা আধুনিক দশত-ই-মার্গের অধিবাসী ছিলেন।
প্রাথমিক জীবনে তিনি চাকরির সন্ধানে দিল্লি ও গজনীতে ঘুরে বেড়ান। তিনি মুহাম্মদ ঘুরী ও দিল্লির কুতুবউদ্দিনের দরবারে দু'বার চাকরি লাভের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাঁর শারীরিক গঠন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় চাকরি লাভে ব্যর্থ হন। অতঃপর বাদায়ুনের শাসনকর্তা তাঁকে চাকরি দিলেও তিনি চাকরি ছেড়ে অযোধ্যায় চলে যান।
অযোধ্যার মালিক হুসামউদ্দিন তাঁকে ভুউলি ও ভাগবত নামে দুটি পরগনার জায়গীর প্রদান করেন এবং তাঁকে মুসলিম রাজ্যের পূর্ব সীমান্তের রক্ষী নিযুক্ত করেন। বখতিয়ার খলজী এখানেই তাঁর ভবিষ্যৎ উন্নতির উৎসের সন্ধান পান। অধ্যাপক মোহর আলী যথার্থই বলেন— “This proved to be the turning point in his career.
বাংলা অভিযানের কারণসমূহ
১. উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা:
বখতিয়ার খলজীর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার ফলস্বরূপ তিনি বাংলা ও বিহার অভিযান করেন। তাঁর জায়গীর সীমান্তে অবস্থিত থাকার কারণে তিনি পার্শ্ববর্তী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হিন্দু রাজ্যগুলোর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হন এবং স্বীয় রাজ্য সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন
২. বাংলার রাজনৈতিক অনৈক্য :
পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজ্যসমূহ ব্যাপক অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা কবলিত ছিল। পারস্পরিক অন্তবিরোধ থাকায় তারা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে পারত না। তথাপি হিন্দু রাজ্যগুলো পূর্ব থেকেই তুর্কি আক্রমণের ভয়ে ভীত ছিল। ইতোমধ্যে বখতিয়ার খলজী একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করেন।
বখতিয়ার খলজীর অভিযান সমূহ:
১. বিহার বিজয় :
বখতিয়ার খলজী বঙ্গের দিকে অগ্রসর হয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি প্রাচীর বেষ্টিত দুর্গের ন্যায় স্থানে উপস্থিত হন। অতঃপর তরবারি পরিচালনা করে তা দখল করে নেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ হতে কোনো বাধাই পেলেন না। তিনি দেখলেন, অধিবাসীদের সকলেই মুণ্ডিত মস্তক এবং তারা বৌদ্ধ ভিক্ষু। যার নাম ছিল উদন্তপুরী বিহার।
বখতিয়ার খলজী তার নাম দেন বিহার শরীফ। সেখানে তাঁর আধিপত্য স্থাপিত হয় এবং প্রচুর ধনরত্ন হস্তগত হয়। অধিকৃত অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে স্বীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। বিহার বিজয়ের অব্যবহিত পরেই বখতিয়ার অনেক ধন-সম্পদ নিয়ে কুতুবউদ্দিন আইবকের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। কুতুবউদ্দিন তাঁকে পুরস্কৃত করেন।
এভাবে বিহার বিজয়ের উৎসাহে এবং কুতুবউদ্দিনের অনুপ্রেরণায় তিনি বঙ্গ বিজয় পরিকল্পনায় অগ্রসর হন। ড. মোহর আলীর মতে— “The Capture of Udantapuri and the reduction of Bihar opened the whole territory upto Bengal before the muslim general."
২. বাংলা বিজয় :
বিহার বিজয়ের পরই ১২০০ খ্রিস্টাব্দে মতান্তরে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী বাংলা আক্রমণ করেন। সেনবংশীয় রাজা লক্ষ্মণসেন এ সময় রাজধানী লখনৌতি ছেড়ে নদীয়ায় অবকাশ যাপন করছিলেন। সম্ভবত বখতিয়ার রাজার অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন।
নদীয়া আক্রমণে তিনি অভিনব কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি তেলিয়াগড়ের সুরক্ষিত গিরিপথ পরিহার করে ঝাড়খণ্ডের গহীন অরণ্যের ভেতর দিয়ে এত ক্ষিপ্রতার সাথে নদীয়া পৌঁছেন, মাত্র ১৮ জন সৈন্য তাঁর সাথে আসতে পেরেছিল। সরাসরি প্রাসাদ দ্বারে পৌঁছে তিনি প্রথম আক্রমণেই প্রাসাদরক্ষীদের হত্যা করেন।
ইতোমধ্যে মূল বাহিনী নগরীতে উপনীত হয়। মধ্যাহ্ন ভোজরত রাজা লক্ষ্মণসেন প্রাসাদের পশ্চাৎ দ্বার দিয়ে পলায়ন করে সেনবংশীয় প্রাচীন রাজধানী ঢাকার বিক্রমপুরে আশ্রয় নেন।
৩. রক্তপাতহীন বিজয় :
বখতিয়ার খলজী রক্তপাতহীন প্রায় বিনাযুদ্ধেই লক্ষ্মণ সেনের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী নদীয়া দখল করেন। ঐতিহাসিক মিনহাজের বিবরণ অনুযায়ী বখতিয়ার লক্ষ্মণ সেনের পশ্চাদ্ধাবন না করে লক্ষণাবতী অভিযান করেন। প্রায় বিনা বাধায় লক্ষণাবতী অধিকৃত হয়।
তিনি তথায় মুসলিম বাংলার রাজধানী স্থাপন করে আরো পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে বরেন্দ্র বা উত্তরবঙ্গ বিজয় করেন। ঐতিহাসিক কানুনগো বলেন - "At any rate Muhammad Bakhtiyar fairly Completed his conquest of the Varendra tract with the historic city of Gaur before the year 599 A.D. with a handsome position of the Spoils of Bengal.”
অতঃপর বখতিয়ার খলজী তাঁর নব প্রতিষ্ঠিত রাজ্যে সুশাসনের ব্যবস্থা করেন। তিনি তাঁর অধিকৃত এলাকাকে কয়েকটি প্রশাসনিক ইকতায় (বিভাগ) বিভক্ত করেন এবং প্রত্যেক ইকতায় একজন মুকতা সেনা নিযুক্ত করেন।
বখতিয়ারের বঙ্গ বিজয় সম্বন্ধে ঐতিহাসিকদের মতামত:
বখতিয়ার খলজীর বঙ্গ বিজয়ের সময়কাল, অভিযানকারী সৈন্য সংখ্যা ইত্যাদি বিষয়ে ঐতিহাসিকগণ বিস্তর মতপার্থক্য করেছেন
ক. চার্লস স্টুয়ার্টের মতে, ১২০৩ হতে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে রেভারতীর মতে ১১৯৪ খ্রিস্টাব্দে রকম্যানের মতে ১১৯৮ খ্রিস্টাব্দে এবং কারো কারো মতে ১২০০ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার বঙ্গ বিজয় করেন। তবে ড. করিম ও ড. তরফদার প্রমুখ আধুনিক ঐতিহাসিকদের গবেষণায় ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ সঠিক বলে প্রমাণ করেছেন।
খ. নদীয়ার অবস্থান সম্পর্কে কারো বক্তব্য হলো— নদীয়া রাঢ় অঞ্চলের বর্তমান নদীয়া নয়; বরং রাজশাহী ও মালদহ জেলার মধ্যবর্তী বরেন্দ্র অঞ্চলে নদীয়ার অবস্থান। কারো মতে নদীয়া ছিল ৯টি দ্বীপের মিলনস্থল অর্থাৎ নবদ্বীপ ।
গ. মিনহাজ ও হাসান নিজামী বর্ণিত ১৮ জন সৈন্যের নদীয়া বিজয় সম্পর্কে অনেক ঐতিহাসিক সংশয় পোষণ করে প্রশ্ন তোলেন যে- লক্ষ্মণসেন শক্তিশালী রাজা ছিলেন। রাজ্য প্রতিরক্ষায় উপযুক্ত ব্যবস্থায় তিনি সুনিশ্চিত ছিলেন। কীভাবে বখতিয়ার ১৮ জন সৈন্য নিয়ে বাংলা জয় করেন—
এর ব্যাখ্যায় বলা যায়, ১৮ জন ছাড়া বিরাট বাহিনী ছিল, যারা পরে এসেছিল। বখতিয়ার লক্ষ্মণসেনের নিরাপত্তারক্ষীদের নিজেদের অশ্ব বিক্রেতা পরিচয় দিয়ে নদীয়া জয় করেন। হয়তো লক্ষ্মণসেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সময়মতো জোরদার করেননি বা তাঁর অশ্বারোহী বা পদাতিক বাহিনী দুর্বল থাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি।
সহজ সাফল্য লাভের কারণ:
বখতিয়ার খলজী খুবই সহজে বাংলা বিজয় সম্পন্ন করেন। ঐতিহাসিকগণ এর পেছনে নিম্নোক্ত কারণ ও প্রেক্ষাপট চিহ্নিত করেছেন—
১. উন্নত রণকৌশল ও বিকল্প পথ ব্যবহার :
স্থলপথে বাংলা প্রবেশের একমাত্র পথ রাজমহলের নিকটবর্তী বর্তমান দ্বারভাঙ্গা জেলার তেলিয়াগড় ও শিকড়ী নামক দুটো সংকীর্ণ গিরিপথ যার প্রতিরক্ষায় লক্ষ্মণসেন সুব্যবস্থা করেছিলেন,
কিন্তু বখতিয়ার উক্ত পথ ছেড়ে ছোট নাগপুরের ঝাড়খণ্ডের অরণ্যের ভেতর দিয়ে এত ক্ষিপ্রগতিতে নদীয়া আক্রমণ করেন, যা লক্ষ্মণসেন কল্পনাই করতে পারেননি।
২. লক্ষ্মণসেনের ভুল সিদ্ধান্ত :
লক্ষ্মণসেন তুর্কিদের বঙ্গ আক্রমণ সম্পর্কে জেনেও একটি প্রতিরক্ষাহীন ও সামরিক গুরুত্বহীন স্থানে অবস্থান করেন। তদুপরি প্রাসাদে শত্রু সৈন্য দেখে মনে করেন তেলিয়াগড় ও নগর শত্রুদের দখলে চলে গেছে। বিকল্প প্রতিরোধের কথা না ভেবে আত্মরক্ষার্থে তিনি পলায়ন করেন। ফলে বিজয় সহজ হয়ে যায়।
৩. গুপ্তচর বাহিনীর দুর্বলতা :
মুসলিম বাহিনীর ক্ষুদ্র দলটিকে গুপ্তচর বাহিনী অশ্ববিক্রেতা ভেবে ভুল করেছিল। তাছাড়া তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে গুপ্তচর বাহিনী ব্যর্থ হয়।
৪. দেশপ্রেমিক সৈন্যের অভাব ও নগরীর দুর্বল অবকাঠামো :
নদীয়ার দুর্বল অবকাঠামোই এর পতনের অন্যতম কারণ। এ নগরে কোনো দুর্গ, প্রাসাদ, সামরিক বাহিনী ও নগরীর দেয়াল প্রাচীর ছিল না। ফলে বিদেশিদের সামান্য আঘাতে নগরীর পতন ঘটে । তদুপরি তাঁর বাহিনীতে দেশপ্রেমিক সৈন্যের এতই অভাব ছিল যে, রাজা পালিয়ে গেলেও দেশ রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি।
৫. সময়োচিত ও সুপরিকল্পিত আক্রমণ :
রাজ্যে যখন বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছিল। সে সময় বখতিয়ারের আক্রমণ ছিল সময়োচিত। তিনি ঝটিকা ও আধুনিক গেরিলা পদ্ধতিতে অতি সহজেই নদীয়া জয় করেন।
৬. বিধর্মীদের আমন্ত্রণ :
লক্ষ্মণসেনের স্বৈরশাসন ও নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবার প্রত্যাশায় নিম্নবর্ণের হিন্দু ও বৌদ্ধরা মুসলিম শাসককে আমন্ত্রণ জানায় ।
বাংলা বিজয়ের ফলাফল:
১. মুসলিম শাসনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা :
বখতিয়ার খলজীর বঙ্গ বিজয়ের ফলে হিন্দু ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত বঙ্গভূমিতে প্রথম মুসলিম আধিপত্য বিস্তার লাভ করে। এই বিজয় শুধু ভারতবর্ষে মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ছিল না, সম্প্রসারণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
Advanced history of India-এর লেখক বলেন, “ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে পশ্চিমদিকে সিন্ধু ও পূর্বদিকে গঙ্গা নদী পর্যন্ত ভারতবর্ষের বিশাল ভূ-খণ্ড মুসলিম বাহিনীর পদানত হয়। মুসলিম বিজয় ভারতবর্ষের হিন্দু আধিপত্য ও শ্রেষ্ঠত্বের মূলে কুঠারাঘাত করে।”
২. ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্র তৈরি :
বাংলাদেশে মুসলিম বিজয় ইসলাম সম্প্রসারণে সহায়ক হয়। মুসলিম সৈন্যগণ ধর্মপ্রচার না করলেও এ বিজয়ের ফলেই বহু সুফী সাধক বাংলাদেশে আগমন করেন। বঙ্গ বিজয়ের ফলেই ধর্ম ও সংস্কৃতি হিসেবে ইসলাম সুদূরপ্রসারী হয়।
৩. ইসলামী সমাজ ও শাসন প্রতিষ্ঠিত :
মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর বিজয়ের ফলে বাংলায় শুধু মুসলিম সার্বভৌমত্বই কায়েম হয়নি; বরং ইসলাম ধর্ম, সমাজব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা ও শাসন প্রণালী সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি লখনৌতিতে মসজিদ, মাদরাসা ও খানকা নির্মাণ করেন । তিনি নব প্রতিষ্ঠিত মুসলিম রাজ্যে সুশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
৪. ধনসম্পদ হস্তগত :
এ বিজয়ের ফলে বিপুল ধনসম্পদ মুসলমানদের হস্তগত হয়। ফলে তুর্কিরা দলে দলে যোগ দিয়ে তাঁর সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
শেষ কথা :
বখতিয়ার খলজীর বিজয়ের ফলে বাংলার ইতিহাসের এক নতুন যুগের সৃষ্টি হয়। স্বীয় প্রতিভা, সাহসিকতা ও যোগ্যতা বলে বখতিয়ার এক নতুন রাজবংশের পত্তন করেন। তাঁর বঙ্গ বিজয়ের ফলে বাংলার প্রাচীনযুগের অবসান ঘটে, সূচনা হয় মধ্যযুগের।
একই সাথে সূচনা হয় মুসলিম শাসনের। মুসলিম শাসনের ফলে এদেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সূচিত হয় এক বিপ্লব। ঐতিহাসিক Sarker যথার্থই মন্তব্য করেছেন— “Bakhtiyar was indeed the marker of the Medieval history of Bengal.”
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com