পত্র লেখার নিয়ম - ব্যক্তিগত পত্র, মানপত্র, সংবাদ পত্র ও দরখাস্ত/আবেদনপত্র লেখার সঠিক নিয়ম

Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!
পত্র লেখার নিয়ম

বন্ধুরা আজকে  আমি আপনাদের মাঝে পত্র/চিঠি লেখার নিয়ম, আবেদনপত্র/দরখাস্ত লেখার নিয়ম, ব্যক্তিগতপত্র লেখার  নিয়ম, মানপত্র ও সংবাদপত্র লেখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পত্র কি? পত্র কাকে বলে? ব্যক্তিগত পত্র, মানপত্র, সংবাদ পত্র ও দরখাস্ত/আবেদনপত্র লেখার সঠিক নিয়ম।

নানা প্রয়োজনে আমাদের পত্র লিখতে হয়। পত্রের মাধ্যমে সাধারণত মনের ভাবের আদান-প্রদান ঘটে। তবে এটা লেখার কিছু বিশেষ রীতি আছে। এর বিষয়বস্তু বহু ধরনের। 

মূলত ব্যক্তিগত, সাময়িক ও ব্যবহারিক- এই তিন পর্যায়ে চিঠিপত্রকে ভাগ করা যায়। পত্রাদি মারফত লেখকের শিক্ষা-দীক্ষা ও রুচির পরিচয় পাওয়া যায়।

ব্যক্তিগত পত্রাদি সাধারণত আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত জনদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে। ব্যবহারিক পত্রাদি সাধারণত আবেদন-নিবেদন, অভাব- অভিযোগ, চাকরি-বাকরি ও ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি কেন্দ্র করে রচিত হয়। 

কারও শুভাগমন ও বিদায় উপলক্ষে যে অভিনন্দন পত্র ও মানপত্র রচিত হয় তাও পত্রের মর্যাদা পায়। এছাড়া বিভিন্ন সমস্যাদি প্রকাশের জন্যও পত্র লেখা হয়।


প্রশ্ন: পত্র কাকে বলে?

উত্তর: কোনো ব্যক্তির কাছে মনের ভাব প্রকাশ করে কোনো বিষয় নিয়ে লেখাকেই পত্র লিখন বলে।

বিভিন্ন পত্র লেখার সঠিক নিয়ম

পত্র লেখার ক্ষেত্রে যে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে:-

ক. পত্রের ভাষা হবে সহজ-সরল।

খ. কঠিন ভাষারীতি পরিত্যাগ করা উচিত।

গ. বিষয় অনুযায়ী পত্রের প্রচলিত নিয়ম রীতি মানা দরকার।

৪. হাতের লেখা পরিষ্কার ও স্পষ্ট হওয়া উচিত।

৫. যথাস্থানে নাম, ঠিকানা লিখতে হবে।


পত্র লেখার ক্ষেত্রে যে সব বিষয় পত্রে অন্তর্ভুক্ত থাকবে

ক. পত্র লেখার স্থান ।

খ. পত্র প্রেরণের তারিখ।

গ. সম্বোধন।

ঘ. পত্রের বক্তব্য বিষয়।

ঙ. পত্র লেখকের নাম ও স্বাক্ষর।

চ. খামের ওপর প্রাপকের নাম ও ঠিকানা।


বিভিন্ন পত্র লেখার সঠিক নিয়ম

* ব্যক্তিগত পত্র কি? ব্যক্তিগত পত্র লেখার নিয়মকানুন

ব্যক্তিগতপত্র কাকে বলে?

একান্ত ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে যে পত্র লেখা হয় তাকে ব্যক্তিগত পত্র বলে। বিষয়বস্তু অনুযায়ী এই পত্রের আকার ছোট বড় হতে পারে।


ব্যক্তিগত পত্রের নিয়মঃ

১. পত্রের ডানদিকের শীর্ষে পত্র প্রেরণের স্থান ও তারিখ লিখতে হবে।

২. পত্রের বাঁ-দিকে একটু নিচুতে প্রাপকের বয়স ও মর্যাদানুযায়ী সম্বোধনসূচক শব্দ যেমন- মান্যবরেষু, স্নেহাস্পদেষু, প্রীতিভাজনেষু, পাক জনাবেষু, কল্যাণীয়াসু, কিংবা প্রাপকের নাম, যথা- প্রিয় কামাল অথবা শুধু কামাল লেখা যেতে পারে।

৩. চিঠির গুরুত্ব এবং বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মূল বক্তব্য লিখতে হবে। এটাই চিঠির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৪. চিঠির শেষে পত্র প্রেরকের নাম কিংবা স্বাক্ষর থাকবে। অপরিচিত কিংবা স্বল্প পরিচিত হলে পুরো নাম লেখা বাঞ্ছনীয়।

৫. খামের ওপর ডানদিকে প্রাপকের পূর্ণ নাম ও ঠিকানা স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে হবে। প্রেরকের নাম ও ঠিকানা থাকবে খামের বাঁ-দিকে।


ব্যক্তিগত পত্রের নমুনা

সুন্দরবন গমন উপলক্ষে ভ্রমণসঙ্গী হবার অনুরোধ জানিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখ।


খিলগাঁও

০১/০১/২০২৩


প্রিয় শোয়েব,

প্রীতি নিও। তোমার চিঠি পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। পরীক্ষা শেষে এবারের দীর্ঘ ছুটিটা কিভাবে কাটাবো তুমি জানতে চেয়েছ। তুমি জেনে খুশি হবে যে, এ মাসের ২৫ তারিখ আমরা সুন্দরবন বেড়াতে যাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে আমরা কখনও সুন্দরবন যাইনি। মামার মুখে অনেক গল্প শুনেছি সুন্দরবন সম্পর্কে। বাঘ, হরিণ, বানর, কুমির, সাপ কত কি জীবজন্তু আছে সেখানে। সব শুনে আমার তো বুক ঢিব ঢিব করছে। তবে বাবা-মাও সঙ্গে যাচ্ছেন এই যা রক্ষে। খুলনা থেকে লঞ্চ নিয়ে আমরা যাব। মামা বলেছেন নীলকমল, দুবলা ঘুরিয়ে আনবেন। দুবলায় অনেক মাছ পাওয়া যায়। খুব বড় রাসমেলা হয় সেখানে, শোনো নি?

আমার খুব ইচ্ছে ভুমিও আমাদের সঙ্গে যাবে। তুমি এলে দুজনে মিলে বই, ক্যামেরা, দূরবীন, গিটার, রেকর্ডার, ক্যাসেট, ছবি আঁকার সরঞ্জাম সব গুছিয়ে নেব। তুমি যথাসময়ে অবশ্যই ঢাকা পৌঁছবে। এ ব্যাপারে তোমার মতামত দ্রুত জানা দরকার।

আমরা সবাই ভালো আছি। সাক্ষাতে বিস্তারিত কথা হবে। আজ এখানে শেষ করছি।


ইতি 

প্রীতিমুগ্ধ

রাজন

পত্র লেখার নিয়ম

ব্যক্তিগত পত্রের কয়েকটি উদাহরণ

১. একুশের বই মেলা সম্পর্কে বন্ধুকে একটি পত্র লেখ।

২. তোমার দেখা একটি কৃষি প্রদর্শনীর বিবরণ দিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখ। 

৩. তোমার পরীক্ষা কেমন হচ্ছে তা জানিয়ে মায়ের কাছে একখানা পত্র লেখ।

৪. বিজ্ঞান পড়ার উৎসাহ দিয়ে তোমার ছোট ভাইকে একটি চিঠি লেখ। 

৫. তোমার জীবনের লক্ষ্য কি তা জানিয়ে বাবার কাছে একটি চিঠি লেখ।

৬. এবারে পয়লা বৈশাখ কেমন উদ্‌যাপন করলে তা জানিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে একখানা পত্র লেখ।


দরখাস্ত কি? দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়ম

কোনো প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন-নিবেদন করে মূলত দরখাস্ত লেখা হয়ে থাকে। বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি-দাওয়া, ছুটি-ছাটা ও চাকরি-বাকরি নিয়ে দরখাস্ত লিখতে পারেন। দরখাস্তের ভাষায় শিষ্টতা ও সৌজন্য প্রকাশ বাঞ্ছনীয়।

দরখাস্ত কাকে বলে?

নানা কারণে আবেদন জানিয়ে যে পত্র লেখা হয় তাকেই দরখাস্ত বলে।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম

১. দরখাস্তের উপরে বামদিকে তারিখ লিখতে হবে।

২. দরখাস্তের শুরুতে প্রাপকের পদ মর্যাদা ও প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা লিখতে হবে।

৩. বক্তব্যের বিষয় সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।

৪. পরে সম্ভাষণ যেমন- জনাব, মহোদয় ... ।

৫. সৌজন্য প্রকাশসহ প্রার্থিত বিষয়ে বর্ণনা, সমর্থনে যুক্তি।

৬. পরবর্তী অংশে প্রার্থনা মঞ্জুরের জন্যে আবেদন।

৭. সবশেষে শিষ্টতার সঙ্গে প্রেরকের স্বাক্ষরসহ নাম যেমন আপনার অনুগত, একান্ত বিশ্বস্ত ইত্যাদি।

৮. নামের বাঁ দিকে যেখানে পত্র লেখা শেষ হয়েছে সেইস্থানের নাম লিখতে হবে।

৯. খামের উপর ডানদিকে প্রাপকের নাম ও ঠিকানা এবং পেছন দিকে প্রেরকের নামসহ ঠিকানা লিখতে হবে।


দরখাস্তের নমুনা

বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির জন্যে ছুটির আবেদনপত্র

তারিখ : ০৪ মার্চ, ২০১২

বরাবর

প্রধান শিক্ষক

মতিঝিল মডেল হাই স্কুল

ঢাকা।

বিষয় : ছুটির আবেদন।

মহোদয়,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আকস্মিকভাবে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনি।

এমতাবস্থায় আমাকে উপর্যুক্ত দিনের ছুটি মঞ্জুর করলে বাধিত হবো।


বিনীত নিবেদক

আপনার অনুগত ছাত্র


রাজন সামি

দশম শ্ৰেণী

বিভিন্ন পত্র লেখার সঠিক নিয়ম

দরখাস্তের কয়েকটি উদাহরণ

১. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদনপত্র লিখুন। 

২. বাড়িতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি পত্র রচনা করুন।

৩. গ্রামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদনপত্র লিখুন

৪. ন্যায্য মূল্যে সার সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদনপত্র রচনা করুন।

৫. বিনা বেতনে পড়ার অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি আবেদন পত্র লিখুন ।

৬. ক্রিকেট ফাইনাল ম্যাচ দেখা উপলক্ষ্যে ছুটির জন্য আবেদন করুন।



মানপত্র

কাউকে সংবর্ধনা দানের জন্যে প্রশংসাসূচক অভিনন্দনপত্র বা মানপত্র দেয়া হয়। মানপত্রে ব্যক্তির গুণাবলী ও প্রশংসা স্থান পায়। দেশ-বিদেশ থেকে উচ্চতর সম্মান, আন্তর্জাতিক খ্যাতি অথবা নিজের এলাকায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জনের জন্যে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানাতে মানপত্র প্রদান করা হয়। মানপত্র সংবর্ধনা সভায় পাঠ করা হয় এবং অভিনন্দিত ব্যক্তিকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।


মানপত্র কাকে বলে? মানপত্র লেখার নিয়ম

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদত্ত সম্মানপত্রকে মানপত্র বা অভিনন্দনপত্র বলা হয় ।

মানপত্র লেখার সঠিক নিয়ম

১. মানপত্রের ভাষা শিল্পসম্মত হওয়া দরকার।

২. অভিনন্দিত ব্যক্তির গুণাবলী ও মহত্ত্ব নানান বিশেষণে প্রতিফলিত হয় মানপত্রের ভাষায়।

৩. মানপত্রে আপনি বা তুমি দুধরনের সম্বোধন থাকতে পারে।

৪. অভিনন্দিত ব্যক্তির নাম ও পরিচিতি দিয়ে মানপত্র শুরু করতে হয়। যেমন- মল্লিকের বড় হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মুরাদ মাহমুদের বিদায় উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি বা দুটি কথা।

৫. নতুন সম্বোধন করে এক একটি অনুচ্ছেদ লেখা হয়। যেমন- হে কৃতী সন্তান, হে দরদী প্রভৃতি।

৬. সবশেষে থাকবে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের নাম ও পরিচয়।

৭. এরই বাঁয়ে বসবে স্থানের নাম ও তারিখ।

বিভিন্ন পত্র লেখার সঠিক নিয়ম

মানপত্রের নমুনা

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা কর।


মল্লিকেরবেড় হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মুরাদ মাহমুদের বিদায় উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি।


হে বিদায়ী সুহৃদ,

দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে সুখে-দুঃখে কাটিয়ে অকস্মাৎ তুমি এমনিভাবে চলে যাবে তা কখনও ভাবতে পারিনি। উচ্চতর দায়িত্ব পালনে তুমি আরো বড় কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছো এটা জেনেও আজ আমাদের হৃদয় সার্তা ব্যথিত। বিদায় বেলা তোমার এই বেদনার সঙ্গে আমাদের হৃদয়ও বেদনায় অভিভূত। অজস্র স্মৃতির ভিড়ে আজ সেই বেদনা প্রকাশের ভাষাও যেন হারিয়ে গেছে। তুমি আমাদের বেদনাহত হৃদয়ের শ্রদ্ধার্থ গ্রহণ কর।

হে শিক্ষা শুরু,

একজন ন্যায়পরায়ণ আদর্শবান মহৎ শিক্ষকের মতো তুমি নিরলসভাবে শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছ আমাদের মাঝে। তোমার আলোক শিক্ষা অন্তরে জ্বেলে অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সমাজ জীবনে। শিক্ষা বিস্তারে তোমার এই নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, শ্রম আজ প্রবাদের মতো ছড়িয়ে আছে এ অঞ্চলের আনাচে কানাচে। মহান শিক্ষাগুরু জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভারের মতো তোমার এই বিপুল কর্মপ্রেরণা চিরদিন আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

হে কর্মবীর,

শুধু লেখাপড়া নয়, সত্য ও সুন্দরের সাধনায় জীবনের প্রতিটা ধাপে একজন শিক্ষার্থী যাতে সাফল্য অর্জন করতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি ছিল তোমার। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিতর্ক, পাঠাগার, স্কাউটিং ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিকাশে তুমি রেখেছিলে অগ্রণী ভূমিকা। এই বিদ্যালয়ের আজকের সমৃদ্ধি ও সমুন্নত ঐতিহ্য তোমার নেতৃত্বের ফসল। ত্যাগ, অধ্যবসায় ও কর্মনিষ্ঠার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুমি স্থাপন করেছ তা চিরদিন অনুপ্রেরণা জোগাবে। তোমার বৈদগ্ধ সহজ- সরল ব্যবহার, নিয়মানুবর্তিতা, সার্থক শিক্ষা পদ্ধতি আমাদের হৃদয়ে অমলিন স্মৃতি হয়ে থাকবে।

হে বন্ধু,

আনুষ্ঠনিকভাবে তোমাকে বিদায় দিলেও আমাদের মনের মণিকোঠায় তুমি চির অম্লান। তোমার পথ নির্দেশনা হবে আমাদের জীবন পথের পাথেয়। আগামী দিনগুলোতে তোমার অকৃত্রিম স্নেহাশিস থেকে যেন তোমার এই বিদ্যাপীঠের ছাত্র- ছাত্রীরা কখনও বঞ্চিত না হয়। আমাদের আচরণে কখনও তোমার মনে ক্ষোভের কারণ ঘটলে আজ বিদায় বেলা তার মার্জনা চাইছি।

সবশেষে তোমার সুস্থ কর্মময় জীবন কামনা করি। শুভ হোক তোমার আগামী দিনের যাত্রাপথ।

তোমার স্নেহধন্য

মল্লিকেরবেড় হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ


মানপত্রের কয়েকটি উদাহরণ


১. বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের বিদায় উপলক্ষে মানপত্ৰ

২. নবাগত ছাত্রদের সংবর্ধনা জানিয়ে মানপত্ৰ ।

৩. নতুন প্রধান শিক্ষকের আগমন উপলক্ষে মানপত্ৰ ।

৪. তোমার বিদ্যালয়ে একজন খ্যাতনামা কবির আগমন উপলক্ষে একখানা মানপত্র রচনা কর।

৫. টুর্নামেন্ট বিজয়ী ক্রিকেট ক্লাবকে সংবর্ধনা জানিয়ে মানপত্র।
বিভিন্ন পত্র লেখার সঠিক নিয়ম

সংবাদপত্রে প্রকাশের পত্র কি? সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে পত্রের নিয়ম

সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে পত্ৰ

সংবাদপত্রে চিঠিপত্র কলামে ব্যক্তিগত কিংবা সমষ্টিগত সমস্যা নিয়ে পত্র লেখা যায়। এই চিঠির দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণ পত্র লেখকের। এতে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে কোন দায়িত্ব বহন করতে হয় না। 

চিঠিতে লেখকের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকে। পত্র লেখক নাম গোপন রাখতে ইচ্ছুক হলে সম্পাদককে জানাতে হয়। নাম ও ঠিকানাবিহীন চিঠি সাধারণত প্রকাশের রেওয়াজ নেই।

সংবাদপত্র প্রকাশের জন্য পত্রের নিয়ম

১. এ ধরনের পত্রে দুটি অংশ থাকে।

২. একটি অংশ সম্পাদকের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে লেখা।

৩. দ্বিতীয় অংশে শিরোনামসহ মূল ঘটনার বিবরণ থাকবে।

৪. পত্রের ভাষা সহজ সরল ও সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়।


পত্রের নমুনা

মশার উপদ্রব নিবারণের জন্যে কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করে সংবাদপত্রে প্রকাশার্থে একখানা পত্র রচনা কর।

তারিখ: ২০/০৩/২০১২ ইং

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক 

১, নং রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা।


বিষয়ঃ সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র।

মহোদয়,

আপনার পত্রিকায় চিঠিপত্র কলামে মশার উপদ্রব সংক্রান্ত পত্রটি ছাপানোর বিনীত অনুরোধ করছি।


নিবেদন

রাজ সামি

১৬৪ উত্তর গোড়ান 

ঢাকা ১২১৯


মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ

রাজধানীর গোড়ান, সিপাইবাগ ও খিলগাও এলাকায় মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে পঙ্গপালের মতো মশার হামলা শুরু হয়। এতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় খুবই বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে পরিক্ষার্থীরা

রাত জেগে লেখাপড়া করতে পারছে না । দুঃখের বিষয় মশার অত্যাচার সহ্যসীমার বাইরে চলে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা নেই। এ ব্যাপারে

অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এলাকাবাসীর পক্ষে

রাজন সামি

১৬৪ উত্তর গোড়ান

ঢাকা ১২১৯


কয়েকটি উদাহরণ

১. তোমার এলাকায় পানীয় জলের অভাবের কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের জন্যে একটি পত্র লেখ।

২. ডাকঘর স্থাপনের জন্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় প্রকাশের জন্যে একটি পত্র লেখ।

৩. শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাসমুক্ত করার সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে একখানি পত্র রচনা কর।

৪. তোমার এলাকায় যানবাহন সমস্যার কথা জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে পত্র লেখ। বিভিন্ন পত্র লেখার সঠিক নিয়ম







নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now

Post a Comment