পুঁজিবাদের অসুবিধা সংক্ষেপে আলোচনা কর । অথবা, পুঁজিবাদের অসুবিধা কি? অথবা, পুঁজিবাদের কুফলগুলো লিখ।
ভূমিকা : পুঁজিবাদ হলো এমন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের উপকরণসমূহ ব্যক্তির হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে উৎপাদন কার্য পরিচালিত হয়। আধুনিক অর্থব্যবস্থায় পুঁজিবাদের সুবিধার পাশাপাশি বেশকিছু অসুবিধাও পরিলক্ষিত হয়।
পুঁজিবাদের অসুবিধা/কৃষল পুঁজিবাদের অসুবিধা নিম্নরূপ :
১. বৈষম্য সৃষ্টি :
পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সমাজে ধনবৈষম্য সৃষ্টি হয়। ধনীরা আরও ধনী এবং গরীবরা আরও গরীব হতে থাকে।
২. শ্রমিক শোষণ ও নিপীড়ন :
পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শ্রমিক শোষণ ও পীড়ন নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়। দরিদ্র জনগণের ভাগ্য কয়েকজন পুঁজিপতির হাতে বন্দি হয়ে পড়ে।
৩. সম্পদের অপচয় :
এ ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতা, প্রচার, সাজসজ্জা, প্রভৃতির উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব প্রদান করতে গিয়ে সম্পদের অপচয় ঘটানো হয়।
৪. একচেটিয়া কারবার :
পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সম্পদ ও পুঁজির অতিমাত্রায় কেন্দ্রীকরণ ঘটলে একচেটিয়া কারবারের উদ্ভব হয়। পুঁজিবাদে তখন আর অবাধ প্রতিযোগিতা থাকে না। শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়।
৫. শ্রেণিবিরোধ :
পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শ্রেণিবৈষম্য সৃষ্টি হয়। মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ লাভ করে। ফলে সামাজিক শান্তি- নষ্ট হয়।
৬. পুজির কেন্দ্রীকরণ :
পুঁজিবাদে অবাধ প্রতিযোগিতার ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপতিরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না। ফলে পুঁজির কেন্দ্রীকরণ ঘটে।
৭. ক্রেতাদের বিভ্রান্তি :
পুঁজিবাদী ব্যবস্থাপনায়, বিজ্ঞাপন প্রচার, প্রসার ও কৌশলের দরুন ক্রেতাগণ বিভ্রান্ত হন।
৮. আন্তর্জাতিক বিরোধ :
পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো বিশ্ববাজার সৃষ্টি ও দখল করার নেশায় মরিয়া হয়ে উঠে। ফলে আন্তর্জাতিক বিরোধ সৃষ্টি হয় ।
উপসংহার :
পরিশেষে বলা যায় যে, পুঁজিবাদ রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধির জন্য ক্ষেত্র বিশেষে সফলতা আনতে পারে। কিন্তু এর ফল আপামর জনসাধারণ ভোগ করতে পারে না।
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com