হরিপদ কাপালী নতুন ধানের জাত কীভাবে খুঁজে পেলেন? তার হরিধান আবিষ্কারের ধাপগুলো কী কী?

হরিপদ কাপালী নতুন ধানের জাত কীভাবে খুঁজে পেলেন?
হরিপদ কাপালী ছিলেন যশোর এলাকার একজন সাধারণ চাষি। তিনি তার ক্ষেতে ইরি ধান লাগিয়েছেন, সেই ক্ষেতের ধান পরীক্ষা করতে করতে হঠাৎ করে দেখলেন- কিছু গাছ তুলনামূলকভাবে বড় এবং সেখানে ধানের ফলন হয়েছে বেশি হরিপদ কাপালী একজন কৃষক হলেও তিনি আসলে বিজ্ঞানী, তাই এরপর বীজ সংগ্রহ করে ১৯৯২ সালে নিজের ক্ষেতে এ ধান আবাদ করেন। তিনি দেখতে চাইলেন আসলেও সেগুলো উচ্চ ফলনশীল কি না। দেখা গেলো সেগুলো বেশ বড় হলো এবং অনেক বেশি ধানের ফলন হলো। পরে এই ধানের আবাদ সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ে। নিজের এলাকার কৃষকরা হরিপদ কাপালীর কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে ইরি ও বোরো মৌসুমে এ ধান আবাদ শুরু করে। ১৯৯৪ সালের দিকে ঝিনাইদহসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে নাম পরিচয় বিহীন এক জাতের ধানের আবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
হরিপদ কাপালীর হরিধান আবিষ্কারের ধাপগুলো কী কী?
- হরিপদ কাপালী প্রথমে চিন্তা করলেন কিভাবে নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করা যায়?
- ধানের পরাগায়ন কিভাবে হয় সে সম্পর্কে জেনে নিলেন।
- ইতিপূর্বে পরগায়ন সম্পর্কে কী কী গবেষণা হয়েছে সেগুলো ভালোভাবে জেনে নিলেন।
- তিনি সম্ভাব্য একটি নতুন জাতের ধানের কথা চিন্তা করলেন।
- ভিন্ন ভিন্ন জাতের ধান গাছ বেছে নিলেন এবং সেগুলো মধ্যে পরগায়ন ঘটালেন।
- কিছুদিন পর সেগুলোর বীজ বড় হলে তিনি বীজ গুলো অন্য বীজ থেকে আলাদা করে নেন।
- পরবর্তীতে এই বীজের ফলন ভালো হলে তার নাম দেন হরিধান।
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com