খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ - ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান - Class 7 Health Protection 1st Summative Assessment Solution

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা জানো যে তোমাদের ১ম ষান্মাসিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তোমাদের সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের বাড়ির কাজ বা অ্যাসাইনমেন্ট টির নমুনা সমাধান শেয়ার করব।
এক নজরে নির্দেশিকাটি দেখে নেয়া যাক
- PI - ৭.1.১ খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ করছে।
- PI - 9.1.2 খেলাধুলা, শরীরচর্চা সংক্রান্ত আঘাত ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের কৌশল অবলম্বন করছে।
অধ্যায়-১: নিরাপদ ও সুষম খাবার খাই, সুস্থ-সবল জীবন পাই
কাজ-১: আগামী ৭দিন তোমার পরিবারে সকাল-দুপুর-রাতে যে খাবারগুলো গ্রহণ করা হবে, তার একটি তালিকা তৈরি করো।
নমুনা উত্তর: আগামী ৭দিন আমার পরিবারের ৩ বেলার (সকাল-দুপুর-রাত) খাদ্য তালিকা নিচে তুলে ধরা হল:
৭ দিনের খাবারের তালিকা:
| ৭ দিনের খাবারের তালিকা |
কাজ-২: তোমার তৈরি ৭ দিনের খাদ্য তালিকা থেকে বাছাইকৃত খাবারগুলো দিয়ে ১ দিনের ৩ বেলার একটি সঠিক পুষ্টিমানের খাদ্য তালিকা তৈরি করো।
নমুনা উত্তর: আমি আমার পরিবারের জন্য আগামী ৭ দিনের যে খাদ্য তালিকা তৈরি করেছিলাম, এর প্রায় সবগুলোই পুষ্টিকর এবং মানসম্মত খাবার। উক্ত তালিকা থেকে সর্বোৎকৃষ্ট খাবারগুলো দিয়ে আমার পরিবারের জন্য ১ দিনের ৩ বেলার খাদ্য তালিকা নিচে দেখান হল।
১ দিনের ৩ বেলার খাদ্য তালিকা
| ১ দিনের ৩ বেলার খাদ্য তালিকা |
পুষ্টি বিবরণ:
উপরের ছকে আমার পরিবারের জন্য ১ দিনের ৩ বেলার খাদ্যসমূহ দেখান হল। এই খাবারগুলো অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর। প্রথমত সকাল বেলার জন্য আমি রুটি, ডিম এবং কলা পছন্দ করেছি। রুটি শর্করার উৎস, ডিম আমাদের আমিষ জোগায় এবং কলা ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।
একইভাবে দুপুরে পছন্দকৃত ভাত শর্করার অভাব মেটায়। মাংস এবং ডাল আমিষের চাহিদা পূরণ করে। পুঁইশাক দেহের খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণ করে। সবশেষে রাতে আমি পছন্দ করেছি ভাত, মাছ ও দুধ। ভাতে শর্করা এবং মাছ ও দুধে আমরা আমিষের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে পারি।
অধ্যায়-২ : খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন
কাজ-১: খেলাধুলা, শরীরচর্চা সংক্রান্ত আঘাত, ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের কৌশল অবলম্বন ।
প্রশ্নঃ মনে করো, খেলাধুলার সময়ে অসতর্কতাবশত তোমার পা কেটে গেছে। এখন এই পরিস্থিতী মোকাবেলায় তুমি কী করবে? বর্ণনা কর।
নমুনা উত্তর:
আমার পা কেটে গেছে। এমতাবস্থায় আমি আমার পায়ের কাটা জায়গাটা পরিস্কার পানি দিয়ে ধৌত করব। এমনভাবে ধৌত করব, যাতে কাটা জায়গায় কোনো ধুলা-বালি বা ময়লা না থাকে।
এরপর রক্তপাত বন্ধ করার জন্য কেটে যাওয়া অংশ হাত দিয়ে চেপে ধরব। স্থায়ীভাবে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য পরিস্কার কোনো কাপর দিয়ে কাটা স্থানটি শক্ত করে বেঁধে দেব।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: উপরের এই উত্তরটি শিক্ষার্থীদের দলগতভাবে অভিনয় করে দেখাতে হবে।
নিচের কাজগুলো লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে:
- হাত কেটে গেছে
- পা মচকে গেছে
- হাড় ভেঙে গেছে
- লিগামেন্ট ছিড়ে গেছে
- পুড়ে গেছে
- নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে
নিচে প্রতিটি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা করা হলো:
হাত কেটে গেছে
খেলাধুলা ও শরীরচর্চা বা অন্যান্য কাজকর্মের সময় র্মে কেটে গেলে সেটা দুই ধরনের ক্ষত তৈরি করতে পারে, গভীর বা অগভীর। ক্ষতস্থান ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে যাতে সেখানে কোনো ধুলাবালু বা অন্য কোনো ময়লা না থাকে।
খেয়াল করতে হবে রক্তপাত যাতে বেশি না হয়। রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ক্ষতস্থান চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে কোনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান বেঁধে দিতে হবে।
পা মচকে গেছে
শরীরচর্চা , খেলাধুলা বা অন্যান্য কাজের সময় হাড়ের সংযোগ স্থান হঠাৎ মচকে গেলে বা বেঁকে গেলে ঐ জায়গার স্নায়ুতন্ত্রের ওপর টান পড়ে বা ছিঁডে গিয়ে যে অসুবিধার সৃষ্টি হয় তাকে মচকানো বলে। এর ফলে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া এবং ফোলা ফোলা ভাব তৈরি হতে পারে।
প্রথমেই মচকে যাওয়া অংশ যেননড়াচড়া না করা হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ক্রেপ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথা কমানোর জন্য বরফ বাঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
হাড় ভেঙে গেছে
দুর্ঘটর্ঘনার পর শরীরের কোনো অংশ যদি স্বাভাবিক আকৃতির না থাকে, প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং ফুলে যায় তাহলে ধরে নিতে হবে সেখানকার কোনো হাড় ভেঙে গেছে । প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এজন্য কোনো লাঠি দিয়ে ভাঙা অংশের দুপাশে বেঁধে দেওয়া যেতে পারে।
রক্তক্ষরণ হতে থাকলে সেটি বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
লিগামেন্ট ছিড়ে গেছে
খেলাধুলা বা শরীরচর্চা র সময় হঠাৎ সজোরে কোনো পেশি প্রসারিত হলে সেটি ছিঁড়ে যেতে পারে। এ সময় উক্ত স্থানে অত্যধিক ব্যথার অনুভূতি হতে পারে এবং ফুলে যেতে পারে।
এ অবস্থায় নড়াচড়াকম করতে হবে। ব্যথার জন্য বরফ লাগানো যেতে পারে। ব্যথা পুরোপুরি ভালো না হওয়ার আগ পর্যন্ত আবার খেলাধুলা বা শরীরচর্চা য় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
পুড়ে গেছে
খেলাধুলা বা শরীরচর্চা র সময় কোনো কিছুর সাথে শরীরে সজোরে ঘর্ষণের কারণে সেখানে পুড়ে যেতে পারে। এছাড়া দৈনন্দিন কাজের সময় আগুন বা অত্যধিক গরম কোনো বস্তুর সংস্পর্শে এর্শে লেও আমাদের শরীর পুড়ে যেতে পারে।
শরীরের পুড়ে যাওয়া অংশে প্রথমেই কমপক্ষে দশ মিনিট ধরে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। কোনো জায়গায় ফোস্কা দেখা দিলে তা গলানো যাবে না। এরপর পুড়ে যাওয়া অংশ পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে নিয়ে যেতে হবে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে
আঘাতজনিত বা অন্য কোনো কারণে কারও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে সাথে সাথে তাকে চিৎ করে শোয়াতে হবে কিংবা বসিয়ে মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে রাখতে হবে।
নাকের সামনে ও ঘাড়ের পিছনে ঠান্ডা পানির ঝাপটা বা বরফ দিতে হবে। রক্ত পড়া বন্ধ হওয়ার পরও কিছুক্ষণ নাকের ছিদ্রপথে তুলো দিয়ে রাখতে হবে।
Tag: খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ - ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান - ৭ দিনের খাদ্যের তালিকা, ১ দিনের ৩ বেলার খাদ্য তালিকা, ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট, খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ - ৭ম শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান



تعليق واحد