ছবি দেখে প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য অনুন্ধান - ৭ম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান - Class 7 Science 1st Summative Assessment Solution
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের সুবিধার্তে নিচে বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর নির্দেশনাটি নিচে দেওয়া হলো-
কাজের শিরোনাম: সবাই মিলে বাঁচি
যে যোগ্যতাসমূহ মূল্যায়ন করা হবে—
- ৭.৮ প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধরনের জীবের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য এবং একই ধরনের জীবের মধ্যে বৈশিষ্ট্যের বিভিন্নতার জৈবিক ও পরিবেশগত কারণ অনুসন্ধান করতে পারা
- ৭.১ বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য একাধিক সম্ভাব্য পরিকল্পনা থেকে নিরপেক্ষভাবে পরিকল্পনা বাছাই করে সে অনুযায়ী অনুসন্ধান পরিচালনা করতে পারা
- ৭.৩ ক্ষুদ্রতর স্কেলে দৃশ্যমান জগতের বিভিন্ন বস্তুর গঠন পর্যবেক্ষণ করে এদের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা (order) অনুসন্ধান করতে পারা
সারসংক্ষেপ:
শিক্ষার্থীরা প্রদত্ত ছবি ও লেখা থেকে বিভিন্ন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য এবং তারা কোন ধরনের পরিবেশে বেঁচে থাকে তা সম্পর্কে জানবে। দলীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা খুঁজে দেখবে পরিবেশের কোন কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে কোনো নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণী ওই পরিবেশে বেঁচে থাকে। বিভিন্ন প্রাণীর ঠোঁট, চোখ, পায়ের আকার-আকৃতি ও অবস্থান, লোমের ধরন, দাঁতের ধরন ইত্যাদি দেখে শিক্ষার্থীরা এই প্রাণীদের খাদ্যাভ্যাস, বাসস্থান ইত্যাদি ধারণা করবে, এবং সংশ্লিষ্ট পরিবেশে তারা কীভাবে টিকে থাকে তা ব্যাখা করবে। বিভিন্ন প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের বৈচিত্র্য কেনো ঘটে সেই আলোচনার সূত্রে এর জৈবিক ও পরিবেশগত কারণ উল্লেখ করবে। এরপর তারা নিজ এলাকার পশু, পাখি ও পোকামাকড়ের তালিকা তৈরি করবে। এরপর প্রত্যেক দলের সদস্যরা মিলে তাদের জন্য নির্ধারিত কয়েকটি প্রাণী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে, এবং পরিবেশের কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে এই প্রাণীরা এখানে টিকে থাকতে পারে তা অনুসন্ধান করবে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দলীয় সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবে এবং পরিবেশের কোনো ধরনের পরিবর্তন হলে এই প্রাণীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে কি না তা নিয়ে যৌক্তিক মতামত উপস্থাপন করবে।
ধাপসমূহ:
ধাপ ১ (প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন)
- ৫/৬ জন সদস্যের দলে শিক্ষার্থীদের ভাগ করুন। প্রতিটি দলের জন্য পরিশিষ্ট ৩ থেকে একটি করে নমুনা পৃষ্ঠা ফটোকপি
- করে দিন, অথবা অন্য কোনোভাবে দেখার ব্যবস্থা করে দিন। এবার তাদের সেগুলো পর্যালোচনার জন্য সময় দিন, ছোট ছোট প্রশ্ন করতে পারেন- যেমন- কয়েক ধরনের বেড়ালের ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন কোন ধরনের বেড়াল কোন ধরনের প্রকৃতিতে দেখা যায় এবং কেন? আলোচনার সূত্র ধরিয়ে দেয়ার জন্য প্রদত্ত প্রাণীসমুহের কিছু বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে খেয়াল করতে বলুন, যেমন- ঠোঁট, চোখ, পায়ের আকার-আকৃতি ও অবস্থান, লোমের ধরন, দাঁতের ধরন, দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি। তাদের খাদ্যাভ্যাস, বাসস্থান, পরিবেশের ধরন ইত্যাদির সঙ্গে এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সম্পর্ক খুঁজতে বলুন।
- শিক্ষার্থীদের দলীয় আলোচনা উপস্থাপনা করতে বলুন, আলোচনায় বিভিন্ন প্রাণীর বৈশিষ্ট্যসমূহ পর্যালোচনা করে সেগুলো এই প্রাণীদেরকে নিজ পরিবেশে টিকিয়ে রাখতে কীভাবে সাহায্য করে তা ব্যাখা করতে বলুন। বিভিন্ন উদ্ভিদ বা প্রাণীর মধ্যে বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য বা বৈচিত্র্য কীভাবে নির্ধারিত হয়, অর্থাৎ জীববৈচিত্র্যের উদ্ভব কী করে হলো তাও ব্যাখ্যা করতে বলুন। শিক্ষার্থীরা সবগুলো সেশনেই প্রয়োজনে তাদের অনুসন্ধানী পাঠ ও অনুশীলন বই দুইটি ব্যবহার করতে পারবে।
ধাপ ২ (তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন)
- এরপর শিক্ষার্থীদের বলুন আলোচনার মাধ্যমে নিজ এলাকার পশু, পাখি, ও পোকামাকড়ের তালিকা তৈরি করতে, তালিকায় স্থানীয় পরিবেশে নেই এমন কোনো প্রাণীর নাম আসলে তা বাদ দেবেন।
- শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দলকে এই তিন ধরনের তালিকা থেকে নির্দিষ্ট প্রাণী ঠিক করে দিন যাদের নিয়ে তারা কাজ করবে। পুনরাবৃত্তি এড়াতে শিক্ষক প্রয়োজনে লটারির মাধ্যমে ঠিক করে দেবেন পশু পাখি / পোকামাকড়ের তালিকা থেকে কোনো নির্দিষ্ট দল কোন কোন প্রাণীর ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করবে। সম্ভব হলে সব দলকেই এই তিন ধরনের প্রাণীর অন্তত একটি করে ঠিক করে দেয়ার চেষ্টা করুন।
- এরপর দলের সদস্যরা মিলে নির্ধারিত প্রাণী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে, এবং পরিবেশের কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে এই প্রাণীরা এখানে টিকে থাকতে পারে তা অনুসন্ধান করবে। তথ্য সংগ্রহের কাজ শ্রেণিকক্ষে সেশনের বাইরের সময়ে করতে পারে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে পরিবেশের কোনো ধরনের পরিবর্তন হলে এই প্রাণীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে কি না সে বিষয়েও মতামত তৈরি করবে।
ধাপ ৩: (চূড়ান্ত উপস্থাপনের দিন )
- শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনার ক্ষেত্রে কী কী দিক বিবেচনা করতে হবে তা আগের ধাপেই জানিয়ে রাখবেন। তারা অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এদের প্রত্যেকের একটা প্রোফাইল তৈরি করবে এবং এদের বৈচিত্র্যের জৈবিক ও পরিবেশগত কারণ নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবে। একইসঙ্গে পরিবেশের কোনো ধরনের পরিবর্তন হলে এই প্রাণীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে কি না তা নিয়েও যৌক্তিক মতামত উপস্থাপন করবে।
- প্রতিটি দল তাদের পুরো কাজের প্রক্রিয়া উপস্থাপন করবে এবং এর উপর একটা সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন লিখে জমা দেবে। প্রতিবেদনে কীভাবে তথ্য সংগৃহীত হয়েছে, পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সদস্যের ভূমিকা কী ছিল, পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন এসেছে কি না, দলের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া কী ছিল তার বর্ণনা থাকবে।
- শিক্ষক পুরো কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্ন দলের কাজ পর্যালোচনা করবেন ও পর্যবেক্ষণ, প্রশ্নোত্তর ইত্যাদির মাধ্যমে দলের সদস্যদের এককভাবে মূল্যায়ন করবেন, এই ক্ষেত্রে ৭.১.২ নং পারদর্শিতার সূচকে তাদের অর্জনের মাত্রা নিরূপণ করবেন। বাকি সবগুলো পারদর্শিতার সূচকে দলীয় মূল্যায়ন করবেন এবং দলের প্রত্যেক সদস্যের একই অর্জনের মাত্রা বিবেচিত হবে।
সমাধান:
নমুনা প্রাণী-১
নামঃ বন বিড়াল
ইংরেজি নামঃ wild cat/Jungle cat
বৈজ্ঞানিক নামঃ Felis chaus
বিস্তারঃ বাংলাদেশ, রাজস্থান ও গুজরাটের শুষ্ক অঞ্চলে এবং মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে এদের দেখা যায়।
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ বনবিড়াল মাংসাশী প্রাণী। বনবিড়ালের খাবারের বড় অংশই হচ্ছে ঘাসফড়িং জাতীয় বড় পোকা এবং ইঁদুর। যেগুলো আমাদের ক্ষেতখামারে থাকে এবং ফসলের ক্ষতিসাধন করে। তাই বনবিড়াল গৃহপালিত মুরগি কবুতর ধরে নিয়ে খেয়ে যতটুকু ক্ষতি করে তার থেকে অনেক বেশি উপকার সাধন করে। এরা নিশাচর। গাছের উপর উঠে রাতের আধারে এরা ছোট পাখি বা পাখির ডিম, ছানা প্রভৃতি শিকার করে খায়।
অভিযোজনঃ এদের দেহ ঘন লোমে ঢাকা, একারনে এরা সহজেই বনে নিজেকে অভিযোজিত করতে পারে। এরা অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু প্রাণী।
বৈশিষ্ট্যঃ
- এদের দেহ ঘন ও ছোট ধূসর লোমে আবৃত।
- এরা সাধারণত ৩০-৫০ সে.মি লম্বা হয়
- এদের তীক্ষ্ণ দাঁত থাক। এরা মাংসাশী প্রাণী।
- এদের চোখ হলদেটে বাদামি বর্ণের।
- এরা স্তন্যপায়ি ও উষ্ণ রক্তের পাণী।
- পা চারটা ও এতে নখরযুক্ত আঙ্গুল আছে।
নামঃ নরওয়েজিয়ান বন বিড়াল
বৈজ্ঞানিক নাম: Felis catus
বিস্তারঃ নরওয়েজিয়ান ফরেস্ট বিড়াল একটি আধা-দীর্ঘায়িত বিড়াল জাত যা নর্ডিক দেশগুলিতে সর্বাধিক বিস্তৃত।
স্বভাব ও বাসস্থানঃ এরা নরওয়ের জংগলে বসবাস করে, তাছাড়াও তুন্দ্রা অঞ্চলেও এদের দেখা মেলে। কিছুটা শান্ত স্বভাবের ও আকর্ষনীয় হওয়ার কারনে বর্তমানে একে বাসাবাড়িতে পোষ মানানো হচ্ছে।
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ মাছ,মাংস, ইঁদুর এদের প্রিয় খাবার।
অভিযোজন: এদের দেহ ঘন ও বড় লোম দ্বরা আবৃত, একারনে এরা সহজেই তুন্দ্রা অঞ্চলে নিজেকে অভিযোজিত করে নিয়েছে, অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু প্রাণী।
বৈশিষ্ট্যঃ
- এদের দেহ ঘন ও বড় কালো-সাদা লোমে আবৃত।
- এরা সাধারণত ৩০-৫০ সে.মি লম্বা হয়।
- এদের চোখ হলদেটে নীল বর্ণের।
- এরা স্তন্যপায়ি ও উষ্ণ রক্তের পাণী।
- এদের তীক্ষ্ণ দাঁত থাকে।
- পা ৪টা খাটো ও এতে নখরযুক্ত আঙ্গুল আছে।
- এদের লেজের লোম বড়।
মাছ শিকারি বন বিড়াল
ইংরেজি নামঃ Fishing cat
বৈজ্ঞানিক নাম: Felis viverrina
বিস্তারঃ বাংলাদেশের সুন্দরবন, সুন্দরবনে এই বিড়ালের ৮৫টি প্রজাতি দেখা যায়।
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ মাছ ও অন্যান্য প্রাণী খেয়ে জীবনধারণ করে ।
স্বভাব ও বাসস্থানঃ এরা খুবই হিংস্র স্বভাবের বিড়াল। মাছের সাথে সাথে অন্য প্রাণীদেরো আক্রমণ করে বসে। এরা ঝোপঝাড় ও গাছে বসবাস করে। এরা অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু প্রাণী। অর্থাৎ বন্য প্রতিকূল পরিবেশে সহজেই বেড়ে উঠে।
অভিযোজনঃ এদের পুরু ত্বক ও আটসাট দেহের কারনে বনে অভিযোজিত হয়েছে
বৈশিষ্ট্যঃ
- এদের দেহ ঘন ও ছোট লোমে আবৃত।
- দেহে ডোরাকাটা দাগ আছে।
- এদের তীক্ষ্ণ দাঁত থাকে ।
- এদের চোখ কালো বর্ণের ।
- এরা স্তন্যপায়ি ও উষ্ণ রক্তের পাণী।
- পা চারট ও এতে নখরযুক্ত আঙ্গুল আছে
- এদের লেজ লম্বা বাঘের ন্যায়।
নমুনা প্রাণী-২:
বাংলা নামঃ পাতিহাঁস
বৈজ্ঞানিক নামঃ Anas crecca
পর্ব-মেরুদণ্ডি
শ্রেণিঃ পক্ষীকূল
বিস্তারঃ বাংলাদেশের সুন্দরবন, ভারত, নেপাল, মায়ানমার, পাকিস্থান।
স্বভাব ও বাসস্থানঃ এরা খুবই শান্ত স্বভাবের পাখি। এরা পানিতে সাঁতার কাটতে ও মাছ শিকার করতে পারদর্শী।
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ মাছ, শামুক, গৃহস্থালীর বিভিন্ন খাবার খেয়ে জীবন ধারন করে খেয়ে জীবনধারণ করে।
অভিযোজনঃ এদের পাগুলো লিপ্ত, চোঞ্চু মাছ শিকারের উপযোগী হয়ায় সহজেই মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণিদের খেয়ে জীবনধারন করে, এরা অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু প্রাণী।
বৈশিষ্ট্যঃ
- এদের দেহ ঘন সাদা ও কালো পালকে আবৃত।
- লিপদ বিদ্যমান।
- এদের চোখের রঙ কালো।
- উষ্ণ রক্তের পাণী।
- পা দুটি হলদে রঙের।
- ঠোট চঞ্চতে রুপান্তরিত।
- এদের হাড়গুলো শক্ত ও ফাঁপা।
- গলায় সাদা রঙের বর্ডার রয়েছে।
বাংলা নামঃ ধলাগলা মানিকজোড়
ইংরেজি নামঃ Asian woollyneck
বৈজ্ঞানিক নামঃ - Ciconia episcopus
বাংলাদেশে এশিয়ান উলিনেক বা ধলা গলা মানিকজোড়কে শীতকালীন বিরল পরিযায়ী পাখি হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এটি এখানে মারাত্মক বিপন্ন প্রজাতির পাখি হিসেবে তালিকাভুক্ত।
শ্রেণিবিন্যাসঃ
Kingdom-Animalia
Phylum-Chordata
Class-Aves
Order-Ciconiiformes
Family-Ciconiidae
Genus-Ciconia
Species-Ciconia episcopus
বিস্তারঃ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এ প্রজাতির মানিকজোড়ের বিচরণ।
স্বভাব ও বাসস্থানঃ ধানক্ষেতে বিচরণ করতে ভালোবাসে এ প্রজাতির পাখি। মাটি থেকে ১ হাজার ৩০ মিটার উপরে (কোনো ক্ষেত্রে ৫০ মিটার-কোনো), কোনো গাছে কিংবা টাওয়ারের মতো কৃত্রিম অবকাঠামোতে বাসা বাঁধে এরা।
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ মাছ ও জলজ প্রাণি খেয়ে জীবনধারন করে।
অভিযোজনঃ দেহ কালচে ধূসর হওয়ার কারনে সহজেই পানিতে সহজে এদের দেখা যায়না। প্রতিকূল পরিবেশে সহজেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
বৈশিষ্ট্যঃ
- এদের দেহ ঘন কাল পালকে আবৃত।
- এদের চঞ্চ লম্বা ও লালচে ধূসর।
- পা দুটি লম্বা ও ধূসর বর্ণের।
- এদের চোখ লাল বর্ণের।
- উষ্ণ রক্তের পাণী।
- গুলা থেকে মাথা পর্যন্ত সাদা পালকে আবৃত ।
- এদের হাড়গুলো শক্ত ও ফাঁপা।
বাংলা নামঃ সবুজ টিয়া
বৈজ্ঞানিক নামঃ Psittacula krameri
বিস্তারঃ সারা পৃথিবীর উষ্ণ ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে এই পাখিটি চোখে পড়ে।
স্বভাব ও বাসস্থানঃ সবুজ টিয়া সচরাচর ছোট দলে থাকে, তবে জোড়ায়ও দেখা যায়। অনেক টিয়া একসঙ্গে মিলে রাত কাটায়। সচরাচর পুনঃ পুনঃ উচ্চ স্বরে ডাকে।সবুজ টিয়া সহজেই পোষ মানে এবং মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। এরা সাধারণত বন, বৃক্ষবহুল এলাকা, প্রশস্ত পাতার বন, আর্দ্র পাতাঝরা বন, খোলা বন, পাহাড়ি বন, চা বাগান, বসতবাড়ির বাগান, আবাদি জমি, পুরান বাড়িতে বসবাস ও বিচরণ করে। অধিকাংশ প্রজাতির টিয়া গাছে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায়।
আকারঃ সবুজ টিয়া কলাপাতাসবুজ রঙের সুদর্শন পাখি। দেহের দৈর্ঘ্য ৪২ সেন্টিমিটার, ওজন ১৩০ গ্রাম।
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ খাদ্যতালিকায় আছে পত্রগুচ্ছ, ফুল, ফল, লতাপাতা, বীজ ও ফলের মিষ্টি রস। ধানখেতের পাকা ধানও সবুজ টিয়ারা খায়।
বৈশিষ্ট্যঃ
- সামান্য কিছু পালক ছাড়া পুরো দেহই সবুজ।
- দেহ সবুজ, ঠোঁট লাল, নিচের দিকে বড়শির মতো বাঁকানো
- ছেলেপাখি ও মেয়েপাখির গলায় ভিন্ন রঙের দাগ আছে
- মেয়েপাখির ঘাড় পান্না সবুজে ঘেরা।
- এদের পা হোলদে ধূসর রঙের।
- পুরুষ পাখির থুতনিতে কালো রেখা, গলা ও ঘাড়ের পেছনে গোলাপি পাটল বর্ণ।
অভিযোজনঃ এদের দেহ ঘন পালকে আবৃত হওয়ায় সহজেই প্রতিকূল পরিবেশে টিকিয়ে রাখতে পারে।
নমুনা প্রাণী-৩
নামঃ praying mantis
বৈজ্ঞানিক নামঃ Mantis religiosa
বিস্তারঃ ম্যান্টিসরা নাতিশীতোষ্ণ এবং গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে বসবাস করে।
স্বভাব ও বাসস্থানঃ তৃণভূমি ও বনভূমিতে এদের দেখা মেলে।
আকারঃ এরা ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ ম্যান্টিস হচ্ছে আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের মধ্যে সাধারণ শিকারি। ম্যান্টিসদের বেশিরভাগই আক্রমণকারী শিকারী যারা বেঁচে থাকে শুধু যখন তাদের কাছাকাছি শিকার আসে। শিকার কাছে আসলে হয় তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে নয়তো অচলাবস্থা হইয়ে থাকে যেন শিকার বুঝতে না পারে।
বড় ম্যান্টিসরা মাঝে মাঝে তাদের প্রজাতির ছোট ম্যান্টিসদের খেয়ে ফেলে। এছাড়াও অন্যান্য ছোট ভার্টিব্রাটা প্রাণী যেমনঃ গিরগিটি, ছোট ব্যাঙ, ছোট মাছ এবং পাখি। বেশিরভাগ ম্যান্টিস শিকার কাছে এলে আক্রমণ করে, অথবা যখন খুব বেশি ক্ষুদার্ত থাকে তখন শিকার খুজার জন্য চলাফেরা করে।
যখন শিকার কাছাকাছি আসে, তখন ম্যান্টিস তার সামনের পা দুটিকে খুব দ্রুত এগিয়ে নেয় এবং শিকারকে ধরে ফেলে।
অভিযোজনঃ মন্তিসদের দেহ কাইটিন দ্বারা গঠিত হওয়ায় সহজেই প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে ।
বৈশিষ্ট্যঃ
- ম্যান্টিসদের অনেক লম্বা, ত্রিকোণাকার মাথা রয়েছে এবং চঞ্চুর মতো মুখ এবং
- ম্যান্ডিবল রয়েছে ।
- এদের দুটি গোলাকার পুঞ্জাক্ষি, তিনটি সাধারণ চোখ এবং একজোড়া অ্যান্টেনা
- রয়েছে।
- এদের দীর্ঘায়িত দেহে ডানা থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে
- এদের গ্রীবা অঞ্চল অনেকটা নমনীয়। ম্যান্টিসদের কিছু প্রজাতি তাদের গ্রীবা ১৮০ ডিগ্রী পর্যন্ত ঘুরাতে সক্ষম।
- ম্যান্টিস এর বক্ষ তিন অংশে বিভক্ত; যেমনঃ প্রোথোরাক্স, মেসোথোরাক্স এবং মেটাথোরাক্স।
- ম্যান্টিসদের দুটি সূচালো, সুদৃঢ় অগ্রপদ রয়েছে যা তাদের শিকার ধরতে এবং কোনোকিছু ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- ম্যান্টিসদের কক্সা এবং ট্রক্যান্টার একত্রে সমন্বিত হয়ে ফিমার গঠন করে, যা সুদৃঢ় অংশের ধারালো এবং সূচালো অংশ।
নামঃ আর্কটিক শিয়াল
বৈজ্ঞানিক নামঃ Kulpes lagopus
বিস্তারঃ সাধারণত আর্কটিক অঞ্চল জুড়ে সাধারণত সমুদ্রের নিকটবর্তী তুন্দ্রা বা পাহাড়ে দেখা যায়। প্রাণীটি তুষারযুক্ত অঞ্চলে কম তাপমাত্রা সহ বাস করে। আর্কটিক শিয়ালগুলি গ্রিনল্যান্ড, আলাস্কা, উত্তর রাশিয়া এবং কানাডায় পাওয়া যাবে।
স্বভাব ও বাসস্থানঃ এরা অত্যন্ত হিংস্র স্বভাবের প্রাণী। এরা প্রজনন ঋতুতে ঘাস,লতা-পাতা দিয়ে গর্ত করে বাসা বানায়। অন্য সময় অপেক্ষাকৃত উষ্ণ স্থানে অবস্থান করে।
আকার ও আয়ুষ্কালঃ আর্কটিক শিয়াল হল ক্ষুদ্রতম শিয়াল প্রজাতির একটি, যার দৈর্ঘ্য 70 সেমি থেকে 1 মিটার পর্যন্ত, যার উচ্চতা কাঁধ পর্যন্ত 28 সেমি। সাধারণভাবে, এর ওজন 2.5 থেকে 7 কেজি, এবং 10 থেকে 16 বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ সামুদ্রিক সীল এবং ভাল্লুকদের খাবারের যে অবশিষ্টাংশ থেকে যায় তা খায়। তারা স্বেচ্ছায় বিভিন্ন পাখির বাসা নষ্ট করে যেমন- পার্টরিজ, গলস, গিজ, হাঁস ইত্যাদি। জলাশয়গুলি থেকে মাছ ধরতে আর্কটিক শিয়ালগুলি অত্যন্ত পারদর্শী। এটি প্রায়শই ইঁদুরদের শিকার করে। মাংস ছাড়াও, আর্কটিক শিয়ালরা বিভিন্ন গুল্ম খায়।
বৈশিষ্ট্যঃ
- একটি fluffy পশম কোট আছে;
- তুলতুলে লেজ
- রঙ ভিন্ন হতে পারে (হলুদ-ধূসর, সাদা, নীল)
- সংক্ষিপ্ত ধাঁধা
- কান ছোট এবং বৃত্তাকার
- শরীরের দৈর্ঘ্য 45-70 সেমি
- দৈর্ঘ্য 32 সেমি পর্যন্ত লেজ
- আর্কটিক শিয়ালের উচ্চতা 30 সেন্টিমিটারের বেশি নয়
- ওজন 3.6 কেজি থেকে হয় (কখনও কখনও ৪ কেজি সর্বোচ্চ ওজনে পৌঁছায়)
- শরীর স্কোয়ার্ট
- ছোট পা
- জন্তুটির তীক্ষ্ণ চোখ, সুগন্ধ এবং তীব্র শ্রবণ রয়েছে
- পা প্যাডগুলি হলুদ চুল দিয়ে আচ্ছাদিত।
অভিযোজনঃ আর্কটিক শিয়ালের দেহ ঘন সাদা লোমে আবৃত যা তাদের ঐ পরিবেশে বেঁচে থাকতে ও বেড়ে উঠতে সাহায্য করে ।
বাংলা নামঃ উদ বিড়াল/ভোঁদড়/ পাতি ভোঁদড়
English Name: Otter
Scientific Name: Lutra lutra
শ্রেণিবিন্যাসঃ
Kingdom: Animalia
Phylum: Chordata
Class: Mammalia
Order: Carnivora
Family: Mustelidae
Genus: Lutra
Species: Lutra lutra
বিস্তারঃ বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে।
স্বভাৱ ও বাসস্থানঃ উদবিড়াল কৌতূহলী প্রাণী। কোন কিছু আঁচ করতে পারলে পিছনের দুপা ও লেজের উপর ভর করে দারিয়ে এদিক ওদিক দেখে নেয়। উদ বিড়াল পরিবার ভিত্তিক দলে থাকে ও শিকার করে। উদবিড়াল বসবাসের জন্য- নদী, লেক, হাওড় বিল গ্রামের পুকুর বা দিঘির পারে থাকা ঝোপঝাড় পছন্দ করে।
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ প্রধান খাদ্য নানা প্রজাতির মাছ। তবে এরা কাঁকড়া, কেঁচো, পোকামাকড়, পাখি প্রভৃতি খেয়ে থাকে। ভোঁদর মূলত নিশাচর প্রাণী। তবে এদেরকে সকালসন্ধ্যায় শিকার করতে দেখা যায়। সুন্দরবনের একটু ভেতরের খালগুলোতে দলে দলে শিকাররত ভোঁদড় দেখা যায়। ভাটার সময় খালের কাদায় কাঁকড়া ও মাছ ধরায় এরা খুব পটু।
আকার-আকৃতিঃ বাংলাদেশে যে সব ভোঁদড় দেখা যেত এক সময় গ্রামে গ্রামে তাদের শরীর কালচে বাদামী পানি প্রতিরোধক ঘন লোমে ঢাকা। মাথা ও শরীরের মাপ ৬৫ ৪৫-৭৫ সেমি। গলার দিকে সাদা।
লেজ ৪০ সেমি. অভিযোজনঃ ভোঁদড়ের দেহে দুই স্তর লোম রয়েছে। প্রথম স্তর আকারে ছোট, কোমল এবং তাপরোধী। এই অন্তঃলোম বাতাস ধরে রেখে পানির নীচে এদের দেহ উষ্ণ ও শুকনো রাখে। এই লোমগুলো পানিরোধী। দ্বিতীয় স্তরের লোম লম্বা।
এই লোমই আমাদের চোখে পড়ে, এগুলো জলে ভিজে ওঠে। এদের লেজ চ্যাপ্টা, ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি লম্বা। নৌকার (মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ১৮ থেকে ২২ ইঞ্চি) (পা হাতের চেয়ে বড়) পা-দাঁড়ের মতো হাত, শক্ত খাড়া গোঁফ জলে শিকার করার অত্যন্ত উপযোগী। ভোঁদড় লিপ্তপদী বলে পানির নিচে খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে এবং পানির উপরে মাথা না তুলে একবারে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতে পারে।
বৈশিষ্ট্যঃ
- ভোঁদড় সাধারণত লিপ্তপদী, মানে হাঁসের পায়ের মতো আঙ্গুলগুলো পাতলা পর্দা দিয়ে জোড়া লাগানো থাকে
- এদের লেজ মোটা আকারের এবং শরীর লম্বাটে গড়নের
- বেশিরভাগেরই পায়ে ধারালো নখযুক্ত থাবা আছে
- সাঁতার কাটার সময়ে ভোঁদড়ের নাক ও কানের ফুটো বন্ধ থাকে
- এদের নাকের ডগায় লম্বা গোঁফের মতো খাড়া লোম থাকে
- ভোঁদড়ের দেহে দুই স্তর লোম রয়েছে
- এদের দেহ বেলনাকার
আমার এলাকায় পাওয়া যায় এমন পশু, পাখি ও পোকামাকড়ের তালিকা
দলের নামঃ ঘাস ফড়িং
নির্ধারিত কাজঃ দাঁড় কাকের জীবন রহস্য
বাংলা নামঃ দাঁড় কাক
বৈজ্ঞানিক নামঃ - Corvus macrorhynchos
ভূমিকাঃ
পাতি কাকের তুলনায় এদের চেহারাও আকর্ষণীয়। নীলাভ-কুচকুচে কালো। পর্যবেক্ষণ দৃষ্টিতে তাকালে এদের সৌন্দর্য যে কারো চোখে ধরা পড়বেই। এরা দেশের স্থায়ী বাসিন্দা। বিচরণ যত্রতত্র করলেও পাতি কাকের মতো বাড়ির আশপাশে বিচরণ করে না। দূরত্ব বজায় রাখে। বিশেষ করে বনভূমির কাছাকাছি বেশি দেখা যায়।
শহরাঞ্চলে নজরে পড়লেও যত্রতত্র নয়। সামাজিক পাখি। দলের কেউ অন্যায় করলে নিজেদের ভেতর বোঝাপড়া করে। মানুষ বা অন্য কারো দ্বারা আক্রান্ত হলে দলের সবাই মিলে একত্রিত হয়ে সমবেদনা জানায়। স্বভাবে চৌর্য্যবৃত্তি লক্ষ্য করা যায়।
মানুষের অগোচরে খাবার বা অন্য যে কোনো জিনিস নিয়ে পালায়। এমনকি সাবানও চুরি করে। সর্বোপরি পচাগলা খেয়ে মানুষের যথেষ্ট উপকারও করে। প্রজাতির অবস্থান দেশে সন্তোষজনক। বিশ্বেও ভালো অবস্থানে রয়েছে। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপক নজরে পড়ে। ইরান, কম্বোডিয়ায়ও দেখা যায় দাঁড় কাক।
শ্রেণিবিন্যাসঃ
Kingdom: Animalia
Phylum: Chordata
Class: Aves
Order:Passeriformes
Family: Corvidae
Genus: Corvus
Specius: Corvus macrorhynchos
আকার ও ওজনঃ গড় দৈর্ঘ্য ৪৬-৫৯ সেন্টিমিটার। ওজন ৪৫০-৫০০ গ্রাম।
বিস্তারঃ বাংলাদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপক নজরে পড়ে। ইরান, কম্বোডিয়ায়ও দেখা যায় দাঁড় কাক।
স্বভাব ও বাসস্থানঃ প্রজনন মৌসুম বছরের যে কোনো সময়। বাসা বাঁধে গাছের উঁচু শাখায় অথবা বাড়ির কার্নিসে এবং বিদ্যুতের খুঁটিতেও। উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে সরুডাল, ঘাস, লতাপাতা ইত্যাদি
খ্যাদ্যাভ্যাসঃ প্রধান খাদ্য: যে কোনো ধরনের উচ্ছিষ্ট খাবার। বলা যায় সর্বভুক পাখি এরা প্রকৃতিতে এরা ধাঙর নামে পরিচিত।
প্রজননঃ দাঁড় কাকের নির্দিষ্ট প্রজনন মৌসুম নেই, বছরের যে কোনো সময় এরা প্রজনন করে। ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৭-১৯ দিন।
বৈশিষ্ট্যঃ
- মাথা, ঘাড়, পিঠ ও লেজ কুচকুচে কালো
- ডানার প্রান্ত পালক নীলাভ কালো ।
- দেহতল কুচকুচে কালো ।
- চোখের মনি কাজল কালো
- ঠোঁট ও পা কালো
- স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম ।
- এদের হাড়গুলো শক্ত ও ফাঁপা।
অভিযোজনঃ দাঁড় কাকের পুরোদেহ ঘন পালকে আবৃত, একারনে অত্যাধিক ঠান্ডা বা অত্যাধিক গরম কোনটায় তার উপর প্রভাব ফেলতে পারেনা। সহজেই পরিবর্তীত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
দাঁড় কাকের উপকারিতাঃ দাঁড় কাক অত্যন্ত বুদ্ধিমান প্রাণি । কাক আমাদের অজান্তেই করে চলেছে পরিবেশ পরিশোধন । আমাদের খাদ্যের উচ্ছিষ্ঠাংশ বাইরে ফেলে দেই, যা পঁচে পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসার কথা ছিল কিন্তু তা আসছেনা কারন কাক এই আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে পরিশোধন করছে।
আপনাদের সুবিধার্তে নিচে সমাধান টির পিডিএফ দেওয়া হলো
ছবি দেখে প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য অনুন্ধান - ৭ম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান, ছবি দেখে প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য অনুন্ধান - ৭ম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান, ছবি দেখে প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য অনুন্ধান - ৭ম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ছবি দেখে প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য অনুন্ধান - ৭ম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ছবি দেখে প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য অনুন্ধান - ৭ম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com