আমার এলাকা কেন ভিন্ন - ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ক, খ, গ, ঘ, ঙ ও চ দলের কাজের সমাধান - Amar Alaka keno Vinno Class 7 Digital Technology Summative Assessment Solution
প্রিয় শিক্ষার্থীরা আজ আমি মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড নির্দেশিত ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট- আমার এলাকা কেন ভিন্ন? এই নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দিব। এখানে প্রতিটি দলের কাজ তথা- ক, খ, গ, ঘ, ঙ ও চ এর নমুনা সমাধান দেওয়া হবে। তোমরা এই নমুনা সমাধান দেখে তোমাদের এলাকা নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট টি সমাধান করবে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি : সপ্তম শ্রেণি ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে নিজেদের এলাকা বা বিদ্যালয়ের এলাকা দলের শিক্ষার্থীদের আশেপাশের পরিচিত এলাকা সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করে এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এলাকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি প্রকাশনা প্রণয়ন করবে।
আমার এলাকা কেন ভিন্ন – প্রকাশনা তৈরির ধাপ
সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বেশ কয়েকটি ধাপে আমার এলাকা ভিন্ন কি কারণে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবো এবং পরবর্তীতে সেটির জন্য প্রকাশনা তৈরি করব। গুরুত্বের সাথে ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধাপ-১ : কয়েকটি দল গঠন
সপ্তম শ্রেণীর যত জন শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরকে অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নের কাজে সম্পৃক্ত করার জন্য আমরা ছয়টি দলে ভাগ হয়ে যাব।
কর্তৃপক্ষকে দেয়া নির্দেশনায় প্রত্যেক দলের আলাদা আলাদা করে কাজ ভাগ করে দেয়া আছে সে বিষয়ে সংক্ষেপে জেনে নিন;
ক দলের কাজ: এলাকার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বিখ্যাত, গুণী ব্যক্তি, লেখক, কবি, সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি সাদা মনের ও মানবসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি… এরূপ ব্যক্তিত্বের যে কোনো একজনের পরিচিতি ও তাঁর কৃতিত্বের পরিচয়/জীবনী;
খ দলের কাজ: এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তথ্য;
গ দলের কাজ: এলাকাটিকে প্রসিদ্ধ করেছে এরকম শিল্প, সংস্কৃতি, খেলাধুলা বা অন্যান্য ক্ষেত্র;
ঘ দলের কাজ: এলাকার দর্শনীয় স্থান বা পরিদর্শনে যাওয়া যায়, এমন স্থান যা সকলকে আকৃষ্ট করতে পারে তার বর্ণনা;
ঙ দলের কাজ: এলাকাকে অন্যের কাছে তুলে ধরেছে, এমন কোন বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ/ভিডিও যা পূর্বে কোন ম্যাগাজিন, পত্রিকা, ওয়েবসাইট, ব্লগ বা অন্য কোন উৎসে প্রকাশিত হয়েছে তা সংগ্ৰহ ও প্রয়োজনে সম্পাদনা করে প্রকাশ;
চ দলের কাজ: বিদ্যালয় এলাকা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য/ঘটনা/ইতিহাস/ঐতিহ্য বর্ণনা করতে পারে এমন কারো (শিক্ষক/অভিভাবক/বিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত কোন বয়স্ক ব্যক্তি) সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও তা লেখা;
ক দলের কাজ: কৃতি ব্যক্তিত্বের পরিচিতি ও তাঁর কৃতিত্বের পরিচয়/জীবনী
তথ্য সংগ্রহ করার প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কোন দলের হয়ে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তির পরিচিতি এবং কৃতিত্বের পরিচয় বা জীবনী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবো। এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় বা কৃতিত্বের বিবরণী তথ্য সংগ্রহ করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করব।
১. ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার
ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার: তথ্য সংগ্রহ করার সময় আমরা সেটির রেকর্ড ও সংরক্ষণ করার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারি। কারণ মোবাইলে একাধারে ভিডিও করা, অডিও রেকর্ড করা, ছবি তোলা, এবং নোট করার কাজটি করা যাবে ।
২. পরিচয় ও কৃতিত্বের বিবরণী জানার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্নমালা ও উত্তর
আমরা যার কাছ থেকে সাক্ষাৎকার নিতে যাচ্ছি তার সম্পর্কে জানার জন্য পূর্বেই কিছু প্রশ্ন প্রস্তুত করে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে দলের প্রত্যেক সদস্য আলাদা আলাদা তালিকা করতে পারে। তবে এখানে আমরা কমন প্রশ্ন বলে উল্লেখ করলাম।
যেহেতু আমরা আমাদের এলাকার একজন মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করব সেহেতু সেই আলোকে কিছু নমুনা প্রশ্ন তোমাদের জন্য উল্লেখ করা হলো।
১: আপনি কি অনুগ্রহ করে আপনার পরিচয় এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদানের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে পারেন?
২: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল? এমন কোন অভিজ্ঞতা বা নির্দিষ্ট ঘটনা কি আছে যা মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করতে আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছে?
৩: একজন মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে আপনি সে সময়ে যে চ্যালেঞ্জ এবং বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন তার সম্পর্কে কিছু বলুন?
৪: মুক্তিযুদ্ধে আপনি কি ভূমিকা রেখেছিলেন? আপনি কি এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অপারেশনের সাথে জড়িত ছিলেন যা বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্বাধীনতায় অবদান রেখেছিল?
৫: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আপনার কোন স্মরণীয় মুহূর্ত বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন যা এখনো আপনার স্মৃতিকে নাড়িয়ে দেয়?
৬: মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সময়ে আপনি কি ধরনের ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং সেটা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কি প্রভাব ফেলেছে?
৭: মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলাফল সম্পর্কে আপনি কেমন অনুভব করেন? এটা কি আপনার প্রত্যাশা বা আকাঙ্খা পূরণ করেছে?
৮: একজন মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে আপনি সবচেয়ে বেশি গর্ববোধ করেন এমন কিছু কৃতিত্ব সম্পর্কে বলুন।
৯: মুক্তিযুদ্ধের সেই মহান যাত্রার দিকে ফিরে তাকালে আপনার কি শিক্ষা পেয়েছেন বলে মনে হয়? এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কোন বার্তা আছে কি?
১০: সবশেষে, বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনি কিভাবে স্মরণীয় হতে চান? ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনার অবদান ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান সম্পর্কে কি জানাতে চান?
১১: মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনার সাথে আমাদের এলাকার আর কে কে অংশগ্রহণ করেছে?
১২: মুক্তিযুদ্ধে আমাদের এলাকার অবদান বা ভূমিকা কি ছিল?
উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর দলের প্রত্যেক সদস্য আলাদা আলাদা ভাবে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী ব্যক্তির নিকট উপস্থাপন করবে এবং যে প্রশ্ন করবে সে তার খাতায় উত্তর লিপিবদ্ধ করবে। দলের মধ্যে কেউ কম্পিউটার বা মোবাইলে টাইপিং এর কাজে এক্সপার্ট হলে সাথে সাথে সে তথ্যগুলোকে টাইপ করে নিবে এবং তথ্যের ভিত্তিতে ওই মুক্তিযোদ্ধার একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিবে।
প্রত্যেক সদস্য তাদের প্রশ্নের আলোকে প্রাপ্ত উত্তর খাতায় লিপিবদ্ধ করে নিজেদের নাম রোল ও স্বাক্ষর সম্বলিত শীট দলনেতার কাছে জমা দিবে। সবগুলো উত্তর সংগ্রহ করে দলনেতা কম্পিউটারের যেকোনো একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ওই মুক্তিযোদ্ধার সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করবে যা সর্বোচ্চ এক পৃষ্ঠার হতে পারে।
আমার এলাকা কেন ভিন্ন – কৃতি ব্যক্তির প্রোফাইল
তোমাদের জন্য একটি নমুনা প্রোফাইল তৈরি করে দেয়া হলো। চাইলে সেটি ডাউনলোড করে কম্পিউটারের সম্পাদনের মাধ্যমে নিজের মত করে তৈরি করতে পারবে।
জন্ম: ০১ জুন ১৯৬৫, গ্রাম-মদনপুর, ডাকঘর-হুচ্চামিয়া, উপজেলা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা
পিতার নাম
অলিউর রহমান
মাতার নাম
করিমন বেগম
মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স
১৮ বছর
যুদ্ধকালীন পেশা
ছাত্র
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এর ধরণ
সরাসরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে
যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেক্টর
সেক্টর ২
কমান্ডারের নাম
কমান্ডার বদিউল আলম
মহান মুক্তি যুদ্ধে অবদান
তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯৭১ সালে সরাসরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধ অংশগ্রহণ করেন এবং নিজে অস্ত্র চালিয়ে বিভিন্ন মিশন সফল করেন।
কৌশলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের অবস্থান এবং যাতায়াত চিহ্নিত করে নিজের দলের লোকদের সাথে নিয়ে রাতে এবং দিনে সুকৌশলে অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে অনেকবার হানাদার বাহিনীদের পরাস্ত করেছেন।
চারটি সরাসরি বন্ধুর যুদ্ধ এবং পরোক্ষ যুদ্ধে হানাদার বাহিনীদের পরাজিত করে সফলতার পতাকা নিয়ে এসেছেন।
মহান যুদ্ধের বিশেষ স্মৃতি
যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি তার প্রিয় বন্ধু সহপাঠী বেলাল চৌধুরী যে তার সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তাকে সামনাসামনি মারা যেতে দেখেছেন। বিষয়টি তার কাছে এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে।
মন্তব্য: আমার এলাকায় মোঃ রহমান এর মত আরো অনেক মহান মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা যুদ্ধের সময় নিজের প্রাণের মায়া না করে পরিবারের মায়ায় না পড়ে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। এজন্যই আমার এলাকা অন্য এলাকা থেকে কিছুটা ভিন্ন।
খ দলের কাজ: এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তথ্য
এই কাজটি করার সময় আমরা শিক্ষক, অভিভাবক, আমার এলাকা সম্পর্কে ভালো জানে এমন কোন ব্যক্তি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করব এবং এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত স্থাপনা বা স্থান পরিদর্শন করে ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করবো।
আমরা প্রেজেন্টেশনে কুমিল্লা জেলা সম্পর্কে একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তথ্য সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরব। তোমরা তোমাদের নিজস্ব জেলা বা উপজেলার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে প্রতিবেদন করে নেবে।
প্রাচীনকালে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত ছিল এবং পরবর্তীতে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়েছিল। এ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনাদি থেকে যতদূর জানা যায় খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে ত্রিপুরা গুপ্ত সম্রাটদের অধিকারভুক্ত ছিল।
ঐতিহাসিকদের মতে সপ্তম থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৌদ্ধ দেববংশ রাজত্ব করে। নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা হরিকেলের রাজাগণের শাসনাধীনে আসে। প্রত্নপ্রমাণ হতে পাওয়া যায় যে, দশম হতে একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ বছর এ অঞ্চল চন্দ্র রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়েছে।
মধ্যবর্তী সময়ে মোঘলদের দ্বারা শাসিত হওয়ার পরে ১৭৬৫ সালে এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে আসে। রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে কোম্পানী ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দ প্রদেশে একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে।
তখন কুমিল্লা ঢাকা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল। ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে কুমিল্লাকে কালেক্টরের অধীন করা হয়। ১৭৯০ সালে ত্রিপুরা জেলা গঠনের মাধ্যমে ত্রিপুরা কালেক্টরেটের যাত্রা শুরু হয়।
১৭৯৩ সালে তৃতীয় রেগুলেশন অনুযায়ী ত্রিপুরা জেলার জন্য একজন দেওয়ানি জজ নিযুক্ত করা হয় এবং সে বছরই তাকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৮৩৭ সালে ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টরের পদগুলিকে পৃথক করা হয়। ১৮৫৯ সালে আবার এই দুটি পদকে একত্রিত করা হয়।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরবর্তী সময়ে ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার নামকরণ করা হয় কুমিল্লা এবং তখন থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর পদটির নামকরণ হয় ডেপুটি কমিশনার। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লার দু’টি মহকুমা চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পৃথক জেলা হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (কুমিল্লা জেলা)
কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্য
কুমিল্লার খাদি
প্রাচীনকাল থেকে এই উপ-মহাদেশে হস্তচালিত তাঁত শিল্প ছিল জগদ্বিখ্যাত। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সব সময় এই তাঁতের কাপড় বিদেশেও রপ্তানি হতো। একটি পেশাজীবী সম্প্রদায় তাঁত শিল্পের সাথে তখন জড়িত ছিলেন।
তাদেরকে স্থানীয় ভাষায় বলা হতো ‘যুগী’ বা ‘দেবনাথ’। বৃটিশ ভারতে গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের সময়কালে ঐতিহাসিক কারণে এ অঞ্চলে খাদি শিল্প দ্রুত বিস্তার লাভ ও জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
তখন খাদি কাপড় তৈরি হতো রাঙ্গামাটির তূলা থেকে। জেলার চান্দিনা, দেবিদ্বার, বুড়িচং ও সদর থানায় সে সময় বাস করতো প্রচুর যুগী বা দেবনাথ পরিবার।
বিদেশি বস্ত্র বর্জনে গান্ধীজীর আহ্বানে সে সময় কুমিল্লায় ব্যাপক সাড়া জাগে এবং খাদি বস্ত্র উৎপাদনও বেড়ে যায়। দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে কুমিল্লার খাদি বস্ত্র। এই বস্ত্র জনপ্রিয়তা অর্জন করে কুমিল্লার খাদি হিসাবে।
কুমিল্লার রসমালাই
উনিশ শতকে ত্রিপুরার ঘোষ সম্প্রদায়ের হাত ধরে রস মালাইএর প্রচলন হয়। সে সময় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মিষ্টি সরবরাহের কাজটা মূলত তাদের হাতেই হত।
মালাইকারির প্রলেপ দেয়া রসগোল্লা তৈরি হত সে সময়। পরে দুধ জ্বাল দিয়ে তৈরি ক্ষীরের মধ্যে ডোবানো রসগোল্লার প্রচলন হয়। ধীরে ধীরে সেই ক্ষীর রসগোল্লা ছোট হয়ে আজকের রসমালাই এ পরিণত হয়েছে।
কুমিল্লা মৃৎ শিল্প
বাংলার লোকশিল্পের আবহমান সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের অন্যতম কুমিল্লার মৃৎশিল্পের বিভিন্ন পণ্য । প্রাচীনকাল থেকেই কুমিল্লায় তৈরীকৃত গৃহস্থালি তৈজসের মধ্যে কলসি, হাঁড়ি, জালা, সরাই বা ঢাকনা, শানকি, থালা, কাপ, বদনা, ধূপদানি, মাটি নির্মিত নানা খেলনা এবং ফল, পশু-পাখি ইত্যাদি বিখ্যাত ছিল।
তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা ক্রমশ ম্রিয়মাণ হতে থাকলে ১৯৬১ সালে ডঃ আখতার হামিদ খান বিজয়পুর রুদ্রপাল মৃৎশিল্প সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী এটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গ দলের কাজ: এলাকাটিকে প্রসিদ্ধ করেছে এরকম শিল্প, সংস্কৃতি, খেলাধুলা বা অন্যান্য ক্ষেত্র;
এই পর্যায়ে আমরা গ দলের হয়ে আমার এলাকাকে প্রসিদ্ধ করেছে এমন কিছু বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ করবো। নিচের তালিকায় কুমিল্লা অঞ্চলকে প্রসিদ্ধ করেছে এমন কিছু বিষয় ছবিসহ তুলে ধরছি।
উপরের ছবিতে ঐতিহ্যবাহী তিনটি শিল্প উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে। তুমি কুমিল্লার মৃৎ শিল্প, খাদি শিল্প এবং রসমালাই এই তালিকায় উল্লেখ করতে পারো।
ঘ দলের কাজ: এলাকার দর্শনীয় স্থান বা পরিদর্শনে যাওয়া যায় এমন স্থান
এবার ঘ দলের হয়ে এলাকার দর্শনীয় স্থান বা পরিদর্শনে যাওয়া যায়, এমন স্থান যা সকলকে আকৃষ্ট করতে পারে তার বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো। তোমার এলাকার অবস্থা বিবেচনায় নিজেদের মত করে তৈরি করে নিবে।
১. কুমিল্লা লালমাই পাহাড়
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনে ঠাসা কুমিল্লা লালমাই পাহাড়। এখানে রয়েছে শালবন বিহার, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি। এসব বিহার, মুড়া ও প্রাসাদ থেকে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে যা ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।
২. ময়নামতি ও ময়নামতি জাদুঘর
বৌদ্ধদের ইতিহাস সমৃদ্ধ ময়নামতি একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের দিয়ে সাজানো ময়নামতি জাদুঘরটি পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ।
ময়নামতি জাদুঘরে রয়েছে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক বিভিন্ন নিদর্শন। যা দেখে দর্শনার্থীরা এই অঞ্চলের ইতিহাস সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করতে পারে।
৩. ওয়ার সিমেন্টি
১৯৪১-৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৭৩৭ জন সৈনিকের সমাধি ক্ষেত্র ময়নামতি। সবুজ বনানী আর ফলে ফুলে ভরা বাগানও বিশালকার স্তম্ভ। আশ্চর্য এবং লক্ষ্যনীয় বিষয় এই যে, বেশির ভাগ সৈনিকের বয়স ছিল ২০ থেকে ২২ বছর। জীবনের শুরুটা যখন ঠিক তখনই যুদ্ধে মহীয়ান তারা বীর সৈনিক।
উপরোক্ত স্থানসমূহের যেকোন একটি সম্পর্কে তুমি খাতায় লিখে শিক্ষকের নিকট জমা দিবে। তোমার পছন্দের স্থানটির বর্ণনা দিতে গিয়ে কিভাবে যাবে এবং মৌলিক আকর্ষন সমূহ উল্লেখ করবে।
ঙ দলের কাজ: আমার এলাকাকে তুলে ধরেছে এমন বিশেষ প্রতিবেদন / সংবাদ / ভিডিও
আমার এলাকা কেন ভিন্ন এই নিয়ে প্রকাশনা প্রস্তুতিতে সপ্তম শ্রেণীর ঙ দলের কাজ হচ্ছে তার এলাকা নিয়ে করা বিশেষ কোনো প্রতিবেদন যা সংবাদ বা ভিডিও আকারে প্রকাশ হয়েছে কোন ম্যাগাজিন পত্রিকা ওয়েবসাইট ব্লগ অথবা উন্নয়ন করা হচ্ছে তা সংগ্রহ করা এবং প্রকাশনায় সংযুক্ত করা।
এই মুহূর্তে আমরা কুমিল্লা জেলা নিয়ে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখব যা কুমিল্লাকে বিশেষভাবে উপস্থাপন করেছে। এবং কুমিল্লার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করেছে।
আমার এলাকা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ
কেন কুমিল্লা দেশের সেরা শহর আজকের কুমিল্লায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল পহেলা মার্চ ২০১৯। আমার এলাকা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ সংগ্রহ নিয়ে যাদের দায়িত্ব পড়েছে তারা এটি সংগ্রহ করতে পারো। খবরটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
কুমিল্লার ইতিহাস এবং কুমিল্লা কেন সেরা এই নিয়ে আরেকটি সংবাদ আছে তা এখানে দেখে নিতে পারো। দ্যা ডেইলি স্টার বাংলায় প্রকাশিত হয়েছিল কুমিল্লার খেলার অর্জনের খবর। শিরোপা ধরে রাখার মতই দল কুমিল্লা শিরোনাম এটি প্রকাশিত হয়েছিল।
আমাদের কুমিল্লা জেলার পর্যটন অঞ্চল বা দর্শনীয় স্থানসমূহ নিয়ে একটি ব্লক প্রকাশিত হয়েছিল গোল্ডেন বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।
সপ্তম শ্রেণীর ডিজিটাল প্রযুক্তি অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় আমার এলাকা কেন ভিন্ন এসাইনমেন্ট এর জন্য প্রকাশনা প্রস্তুত করতে ঙ দলে যারা পড়েছো তারা উপরোক্ত তথ্যগুলো তোমার যেকোনো একটি পছন্দ করে খাতায় লিখে নিয়ে যাবে। এবং দলনেতার কাছে জমা দিবে।
চ দলের কাজ: বিদ্যালয় এলাকা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ঘটনা, ইতিহাস বা ঐতিহ্য বর্ণনা করতে পারে এমন কারো সাক্ষাৎকার
সপ্তম শ্রেণীর ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের আমার এলাকা কেন ভিন্ন এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রণয়নে চ দলে ভুক্ত শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয় লেখা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।
তাদের এলাকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ঘটনা, ইতিহাস, বা ঐতিহ্য সঠিকভাবে বর্ণনা করতে পারে এমন কোন বয়স্ক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে হবে। এটা হতে পারে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক অথবা বিদ্যালয় এলাকায় বসবাসকারী যে কোন ব্যক্তি।
নমুনা সাক্ষাৎকার
এখন আমরা একটি নমুনা সাক্ষাৎকার গ্রহণ করব এবং বিদ্যালয়ের সম্পর্কে যে তথ্যগুলো পাব সেগুলো লিখব। এখানে আমরা বিদ্যালয়ের পাশে বসবাসকারী একজন প্রবীণ ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করব যিনি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা থেকে অদ্যাবতী সকল তথ্যই জানেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়: আমরা প্রথমেই বিদ্যালয়ে এলাকার পাশে বসবাসকারী প্রবীণ ব্যক্তির বাসায় যাব অথবা বিদ্যালয়ে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী অতিথির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করব। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তার কাছে বিদ্যালয়ের এলাকার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস জানতে চাইব।
প্রশ্ন: আপনি কি দয়া করে এই এলাকার এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারেন যা ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বর্ণনা করতে পারে?
উত্তর: তোমাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি তোমরা প্রভুর কৃপায় যথেষ্ট ভালো আছো। আজকে তোমাদের উৎসাহ দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্য জানা তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী প্রজন্মকে নিজের মাতৃভূমি সম্পর্কে তথ্য দেওয়া খুবই প্রয়োজন।
তোমাদের বিদ্যালয়ে এলাকাটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলা যায়। আমাদের এখানে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হতো। এই মেলায় এই মেলায় সবাই উৎসাহ নিয়ে আসতে এবং যার যার পছন্দের পণ্য কিনে নিয়ে যেত। মেলায় আধুনিক কোন পণ্য নয় বরং সবার হাতে বানানো বিশেষ বিশেষ সামগ্রী এখানে স্থান পেত। যেমন মাটির বাসন-কোসন, হাতে বানানো তৈজসপত্র, আসবাবপত্র, হাতে বানানো খেলনা সামগ্রী এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার দাবার।
নতুন ধানের নবান্ন উৎসব পালন করার জন্য এই মেলার আয়োজন করা হতো। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা নিজেদের বানানো বিভিন্ন জিনিস নিয়ে মেলায় উপস্থিত হতো এবং সবাই মিলে অত্যন্ত আনন্দের সাথে মেলা উদযাপন করত।
আমার এলাকা কেন ভিন্ন এই নিয়ে প্রকাশনা প্রস্তুত ও নমুনা প্রকাশনা
প্রকাশনা প্রস্তুত করার জন্য আমাদেরকে প্রথমেই একটি কাভার পেজ ডিজাইন করতে হবে এবং এরপর প্রকাশনাটি এর মধ্যে সংযুক্ত করতে হবে।
প্রথমেই আমরা প্রকাশনের জন্য একটি নমুনা কাবার পেজ ডিজাইন করবো। এটা নিচের ছবির মতো করে তোমরা ডিজাইন করবে।
প্রকাশনাটির কপিরাইট নিবন্ধন
এই পর্যায়ে আমার এলাকা কেন ভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত প্রকাশনাটি যেন অন্য কেউ হুবহু কপি করে ফেলতে না পারে সেজন্য আমরা এটির কপিরাইট নিবন্ধন করে নিব।
নিজস্ব জিনিসের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রকাশনাটি কপিরাইট নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কপিরাইট নিবন্ধন কিভাবে করতে হয় সেটা জানার জন্য এই প্রবন্ধটি পড়ে নাও। চাইলে সরাসরি কপিরাইট নিবন্ধনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারো।
আমার এলাকা কেন ভিন্ন প্রকাশনা প্রস্তুতিতে কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে প্রতিবেদন
সপ্তম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থী তার এলাকা কেন ভিন্ন এই বিষয়টির উপর প্রকাশনা প্রস্তুত করতে নিজ নিজ দলের হয়ে এককভাবে বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করে ছিল। এখন আমরা একজন শিক্ষার্থী তার অবদানের বর্ণনা করে কিভাবে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে সে বিষয়ে জানাবো।
আমার এলাকা কেন ভিন্ন এই নিয়ে প্রকাশনা প্রকাশের দিনের শেষে শিক্ষার্থীরা ওই কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে প্রতিবেদন আকারে জমা দিবে যেখানে নিন মুক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে-
প্রকাশনা কাজে নিজের অবদান
দলগত কাজে কোন কোন তথ্য নিজের দ্বারা সংগ্রহ হয়েছে ( প্রমাণসহ)
তথ্যের উৎস উল্লেখ করা
উপস্থাপনায় নিজের অংশটুকু বর্ণনা
কয়েকজন অভিভাবকের বা দর্শনের কাছে অথবা অন্য শিক্ষার্থীর কাছে অভিমত প্রকাশ এবং উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন সমূহ
উপস্থাপনার দিনের সংক্ষিপ্ত বিবরণী
নমুনা প্রতিবেদন
প্রকাশনায় আমার অবদার:
আমি আব্দুল্লাহ আল আরিয়ান, সপ্তম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী। আমার আইডি: ১২৩৩২২৩। আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৩ এর কাজ ছিল আমার এলাকা কেন ভিন্ন এই নিয়ে একটি প্রকাশনা প্রস্তুত করা। এই বিষয়ে আমাদের বিষয় শিক্ষক সবগুলো বিষয় জানিয়ে দিয়েছেন এমন কিভাবে কি করতে হবে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছেন।
উনি আমাদেরকে ছয়টি দলে ভাগ করেছেন যার মধ্যে আমার অবস্থান ছিল খ দলে। স্যার আমাকে ওই দলের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। আমি স্যারের নির্দেশনা মত আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ ভালোভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। দলের সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেছি এবং আলোচনার মাধ্যমে অবশেষে প্রকাশনাটি প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছে।
যে সকল তথ্য আমি সংগ্রহ করেছি:
খ দলের নির্ধারিত কাজ হিসেবে আমাকে দেয়া হয়েছিল আমার এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। আমি এ বিষয়ে নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কাজ করার জন্য। পরিবারের বড়দের সাথে আলোচনা করে, আমাদের অঞ্চল সম্পর্কে জানে এরকম কয়েকজন ব্যক্তির সাথে আলোচনা করে আমি আমার এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছি।
সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন পোর্টাল থেকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত জেনেছি এবং সেগুলো জমা দিয়েছি।
আমার সংগৃহীত তথ্যের উৎসব:
প্রধানত আমি আমার পরিবারের বড় ভাইয়ের সাথে আলোচনা করে মৌলিক তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি। এবং সেই সকল তথ্যের আলোকে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জেনেছি। এছাড়াও আমি আমার এলাকা নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ এবং ওয়েবসাইটের আর্টিকেল অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ করেছি।
ইউটিউবে আমার দেওয়া কাজের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে বিভিন্ন ভিডিও দেখেছি এবং সেখান থেকে তথ্য নিয়ে নোট করে তারপর জমা দিয়েছি।
প্রকাশনা উপস্থাপনায় আমার অংশটুকু বর্ণনা:
আমার এলাকা কেন ভিন্ন শীর্ষক প্রকাশনায় আমি কুমিল্লা জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে একটি পাতা রচনা করেছি তার মধ্যে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী খাদি শিল্প, কুমিল্লা রসমালাই, এবং কুমিল্লার শিল্প স্থান পেয়েছে।
( তোমরা উপর থেকে এই অংশটি নিয়ে নিতে পারো)
দশনার্থীদের অভিমত উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন সমূহ:
আমার এলাকা কেন ভিন্ন শীর্ষক প্রকাশনা উপস্থাপনার দিন সপ্তম শ্রেণীর অভিভাবকবৃন্দ এবং অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থী ভাইয়েরা এবং এলাকার দর্শনার্থীরা এসেছিলেন। তারা আমাদের প্রকাশনার প্রশংসা করেছেন এবং আমাদের উৎসাহ প্রদান করেছেন।
প্রকাশনা উপস্থাপন সংক্রান্ত তাদের উল্লেখযোগ্য প্রশ্নগুলো ছিল- ১. আমরা কিভাবে এত সুন্দর প্রেজেন্টেশন তৈরি করলাম ; ২. কোথা থেকে আমরা এই সকল তথ্য পেয়েছি?, ৩. এ সকল কাজ করতে গিয়ে আমাদের কোন ঝামেলায় পড়তে হয়েছে কিনা?
আজ এই পর্যন্ত, প্রতিটি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট গুলোর নমুনা উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।
Tag: আমার এলাকা কেন ভিন্ন, আমার এলাকা কেন ভিন্ন ৭ম শ্রেণি, আমার এলাকা কেন ভিন্ন ৭ম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি, আমার এলাকা কেন ভিন্ন ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান, Amar Alaka keno Vinno Class 7, Amar Alaka keno Vinno Class 7 Digital Technology