৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ সমাধান - Class 7 Science Final Assignment Solution

এলাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় যানবাহন
যাতায়াতে ব্যবহৃত এমন যানবাহন হলো:
১. সাইকেল
২. রিক্সা
৩. ইজিবাইক
৪. অটো রিকশা
৫. সিএনজি
৬. বাস
৭. প্রাইভেট কার
পণ্য পরিবহণে ব্যবহৃত এমন যানবাহন হলো:
১. রিক্সা
২. ভ্যান
৩. পিকআপ ভ্যান
৪. ট্রাক
যাতায়াতে কে কোন যানবাহন ব্যবহৃত তার পরিসংখ্যান
যাতায়াতে কে কোন যানবাহন ব্যবহার করেন:
পণ্য পরিবহনে কে কোন যানবাহন ব্যবহৃত তার পরিসংখ্যান
এলাকায় সবচেয়ে প্রচলিত এমন তিনটি যানবাহন হলো:
১। বাস
২। ট্রাক
৩। ইজিবাইক
যানবাহন গুলোর গঠন:
১. বাস:
চার চাকার বাহন । সামনে দুই চাকা এবং পেছনে ২ চাকা। পেছনে ২ পাশে জোড়া চাকাও থাকে। পুরো কাঠামো লোহার/ইস্পাতের তৈরি। চারপাশ লোহার পাত দিয়ে ঢাকা থাকে। সামনের অংশে এবং জানালায় কাচ থাকে।
কার্যপদ্ধতি: ইঞ্জিন চালিত। ডিজেল বা গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডিজেল বা গ্যাস তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই তাপশক্তি পরবর্তিতে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ফলে বাস চলে।
ব্যবহৃত জ্বালানি ও এর পরিমাণ: জ্বালানি হিসেবে ডিজেল বা গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রতি লিটার ডিজেলে ২-৩ কিলোমিটার যায়।
উৎপন্ন বর্জ্য: কালো ধোঁয়ার বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, অর্ধ পোড়া তেল বাতাসকে দূষিত করে।
২. ট্রাক
চার চাকার বাহন । সামনে দুই চাকা এবং পেছনে ২ চাকা। পেছনে ২ পাশে জোড়া চাকা থাকে। পুরো কাঠামো লোহার/ইস্পাতের তৈরি। সামনে যেখানে ড্রাইভার থাকে সে অংশ লোহার পাত দিয়ে ঢাকা থাকে। সামনের অংশে এবং জানালায় কাচ থাকে। পেছনের অংশে উপরে ছাউনি থাকে না। সেখানে পণ্য বা মালামাল বহন করা হয়।
কার্যপদ্ধতি: ইঞ্জিন চালিত। ডিজেল বা গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডিজেল বা গ্যাস তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে ট্রাক চলে।
ব্যবহৃত জ্বালানি ও এর পরিমাণ: জ্বালানি হিসেবে ডিজেল বা গ্যাস ব্যবহৃত হয় । প্রতি লিটার ডিজেলে ২-৩ কিলোমিটার যায়।
উৎপন্ন বর্জ্য: কালো ধোঁয়ার বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, অর্ধ পোড়া তেল বাতাসকে দূষিত করে।
৩. ইজিবাইক:
তিন চাকার বাহন। সামনে এক চাকা। পেছনে ২ চাকা। রিক্সার মতো। পুরো কাঠামো লোহার তৈরি। পিভিসি কাপড় দিয়ে মোড়ানো। বৈদ্যুতিক মোটর লাগানো। লিথিয়াম ব্যাটারি দিয়ে চলে। ড্রাইভার সামনে বসে চালান। ড্রাইভারের সামনের অংশে স্বচ্ছ প্লাস্টিক লাগানো থাকে যাতে ড্রাইভারের বাতাস না লাগে। ড্রাইভারের পাশে এবং পেছনে যাত্রী বসে।
কার্যপদ্ধতি: বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে চলে। সাধারণত বিদ্যুৎ দিয়ে বড় বড় ব্যাটারি চার্জ করে মোটর চালানো হয়। ব্যাটারি বৈদ্যুতিক শক্তিকে জমা করে রাখে। মোটর বৈদ্যুতিক শক্তিকে ঘূর্ণন শক্তিতে রূপান্তর করে। মোটরের সাথে লাগানো চাকা ও চেইন ঘূর্ণন শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে ইজিবাইককে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
ব্যবহৃত জ্বালানি ও এর পরিমাণ: জ্বালানি হিসেবে বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ-এ ৮০-১০০ কিমি যাওয়া যায়।
উৎপন্ন বর্জ্য: তেমন কোনো বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয় না। তবে জোরে চালালে ধুলাবালি উড়ে বাতাস দূষিত করে।
গাড়ির মডেল তৈরি অংকন:
| গাড়ির মডেল তৈরি |
পরিবেশ বান্ধব যানবাহন:
বাস, ট্রাক ও হাজবাহক এর মধ্যে সবচেয়ে একাডেমা পরিবেশবান্ধব এবং এলাকায় চলাচলের জন্য উপযোগী যানবাহন হলো ইজিবাইক।
পরিবেশের উপর প্রভাব:
বাস, ট্রাক ও ইজিবাইকের মধ্যে বাস ও ট্রাক সবচেযে বেশি পরিবেশ দূষণ করে। কারণ এগুলোতে ডিজেল বা পেট্রোল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যা বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। বাস ও ট্রাকের ধোঁয়া থেকে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, সুক্ষ্ম ধূলিকণা ইত্যাদি দূষক পদার্থ নির্গত হয়।
এই দূষক পদার্থগুলো বায়ুদূষণের ফলে হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ, ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি রোগের কারণ হতে পারে। ইজিবাইক বিদ্যুৎচালিত যানবাহন হওয়ায় এটি পরিবেশবান্ধব। ইজিবাইক থেকে কোনো দূষক পদার্থ নির্গত হয় না। তাই ইজিবাইক ব্যবহার করলে বায়ুদূষণ কম হয় এবং পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা হয়। ইজিবাইক বিদ্যুৎচালিত যানবাহন হওয়ায় এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর।
অন্যান্য দিক:
বাস, ট্রাক ও ইজিবাইকের মধ্যে বাস ও ট্রাক সবচেযে বড় আকারের যানবাহন। তাই এগুলো চালানোর জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও এগুলোর গতি বেশি হওয়ায় এগুলো দিয়ে এলাকায় চলাচল করা কঠিন। ইজিবাইক আকারে ছোট হওয়ায় এগুলো চালানোর জন্য কম জায়গার প্রযোজন হয়। এছাড়াও ইজিবাইকের গতি কম হওয়ায় এগুলো দিয়ে এলাকায় চলাচল করা সহজ। পরিবেশের উপর প্রভাব, মানবস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব এবং অন্যান্য দিক বিবেচনা করে দেখা যায় যে, বাস, ট্রাক ও ইজিবাইকের মধ্যে ইজিবাইক সবচেযে পরিবেশবান্ধব এবং এলাকায়, চলাচলের জন্য উপযোগী যানবাহন। তাই আমার এলাকায় চলাচলের জন্য ইজিবাইক ব্যবহার করা উচিত।
| ইজিবাইক অংকন চিত্র |
যানবাহন সমূহের কোন ধরনের পরিবর্তন আনলে আরও পরিবেশ বান্ধব ও ব্যবহার উপযোগী হবে:
উক্ত যানবাহন গুলো পরিবেশ বান্ধব করতে হলে পেট্রোলিয়ামনির্ভর যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বিকল্প হিসেবে ইঞ্জিন ও ইলেকট্রিক মোটর ব্যবহার করতে পারি। কেননা তা পেট্রোলিয়ামনির্ভর যানবাহনের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ও সাশ্রয়ী। সাধারণত গাড়ির ইঞ্জিন পেট্রল পুড়িয়ে যে শক্তি উৎপন্ন করে, সেটি গিয়ারবক্সের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় চাকায়। চাকাগুলো ঘুরতে থাকায় গাড়িটি গতি পায়।
হাইব্রিড গাড়িতে এই সিস্টেমের পাশাপাশি ইঞ্জিন ও গিয়ারবক্সের মধ্যে একটি ইলেকট্রিক মোটর থাকে। এটি কাজ করে দুই ধাপে। প্রথমত, এটি ইঞ্জিনের চালিকাশক্তি ব্যবহার করে ব্যাটারি চার্জ করে ও ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় সেই চার্জ ব্যবহার করে গিয়ারবক্সে চালিকাশক্তি পাঠায়। চালকের ঠিক করা সেটিং অনুযায়ী হাইব্রিড গাড়িগুলো শুধু ইঞ্জিন অথবা শুধু মোটর কিংবা ইঞ্জিন ও মোটর দুটিই একসঙ্গে ব্যবহার করে চলতে পারে।
যানবাহন গুলোর গড় গতি:
১. বাস: গড় গতি প্রতি ঘন্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার।
২. ট্রাক: গড় গতি প্রতি ঘন্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার।
৩. ইজিবাইক: গড় গতি প্রতি ঘন্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার।
যানবাহন গুলোর দুর্ঘটনা ঘটার হার:
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি-এর ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী:
১. বাস: প্রতি ১০০ টি দুর্ঘটনার মধ্যে বাসের কারণে ১৩.৯৫ টি
২. ট্রাক: প্রতি ১০০ টি দুঘটনার মধ্যে ট্রাকের কারণে ২৪.৫০ টি।
৩. ইজিবাইক: প্রতি ১০০ টি দুঘটনার মধ্যে ইজিবাইকের কারণে ১১.৪২ টি
প্রতিবেদনের শিরোনাম: যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহার
প্রতিবেদকের নাম: মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম
একাজে প্রতিবেদকের ঠিকানা: ময়মনসিংহ
তারিখ: ১৯/১১/২০২৩
দলের কাজের প্রক্রিয়া:
প্রথমে আমরা যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের গুরুত্ব ও প্রযোজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করি। এরপর বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করি। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করি। প্রতিবেদনে যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরি।
দলের সদস্যদের কাজ বণ্টন:
[রামিয়া] - পরিবেশের উপর প্রভাব ও করণীয় পদক্ষেপ লেখা
[সুলতানা] - নিরাপদ ব্যবহারের নিয়ম-কানুন লেখা
[আয়েশা] - মানবস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব লেখা
দলে নিজের ভূমিকা:
আমি প্রতিবেদনের ভূমিকা, পরিবেশের উপর প্রভাব ও করণীয় পদক্ষেপ লেখার কাজটি করেছি। এই কাজের মাধ্যমে আমি যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের গুরুত্ব ও প্রযোজনীয়তা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছি।
এই কাজের মাধ্যমে আমি নিম্নলিখিত উপলব্ধি লাভ করেছি:
যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহার শুধুমাত্র নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও মানবস্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
- যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম- কানুন মেনে চলা উচিত:
- যানবাহন চালানোর সময় সর্বদা বেল্ট পরিধান করতে হবে।
- যানবাহন চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না
- মদ্যপান অবস্থায় যানবাহন চালানো যাবে না।
- দ্রুত গতিতে যানবাহন চালানো যাবে না।
- নিয়মিত যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের ফলে নিম্নলিখিত সুবিধা পাওয়া যায়:
- দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
- পরিবেশের দূষণ কমানো যায়।
- জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়।
- অর্থ সাশ্রয় করা যায়।
নিজের ভূমিকা পালন করার জন্য আমি নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করব:
- সর্বদা যানবাহন চালানোর সময় নিয়ম-কানুন মেনে চলব। তালুকদার
- অন্যদেরকে যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন করব।
- যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাব
অন্যদের সচেতন করার পরিকল্পনা:
- বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের রবারের সদস্যদের সদস্যদের সাহে সাথে যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করব।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্নানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতামূলক পোস্ট করব।
- স্কুল-কলেজে যানবাহনের নিরাপদ ব্যবহারের বিষযে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করব।
সম্পূর্ণ ফাইলটি পিডিএফ আকারে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন করুন। সেখানে পিডিএফ টি দেয়া আছে।



تعليق واحد