শীতকালে ত্বক ভালো রাখার জন্য ১০টি করণীয় - The Top 10 Tips for Healthy Winter Skin

শীতকালের তাপমাত্রা বাড়তে সাথেই, মনুষ্যদের ত্বকও প্রভাবিত হয়ে থাকে। কেউ শীতকালকে উচ্চপ্রদর্শন এবং প্রিয় মনে করতে পারেন, আর কেউ গরম কালের শীতকালে বেশি সুখী অনুভূতি পায়। তবে, এই শীতকালে ত্বকের যত্ন নেয়া উত্তম।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্কের বোর্ড প্রত্যায়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ র্যাচেল নাজারিয়ান বলেছেন, "বৈজ্ঞানিকভাবেই ত্বকের সুরক্ষার স্তর বাতাসে থাকা আর্দ্রতার প্রতিফলন ঘটে। শীতে ভেতর ও বাইরের আর্দ্রতার মাত্রা কমে যাওয়াতে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে।"
তাই, শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় উপায় রয়েছে, যেগুলি ত্বকের সুস্থ এবং আপনার সৌন্দর্যের কাছে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
আমরা অনেকেই শীতকাল আসলে গুগল বা বিভিন্ন মাধ্যমে শীতকালে ত্বক ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করি। যেমন কেউ জানতে চায়, “শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়” বা কেউ কেউ জানতে চায় “শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়” বা “শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত” এভাবে আমরা ইন্টরনেটে এসব বিষয় সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করি।
তাই আমি আজ আপনাদের এমন ১০ টি টিপস শেয়ার করব, যাতে আপনারা খুব সহজে শীতকালে আপনাদের ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখতে পারেন।
শীতকালে ত্বক ভালো রাখার জন্য ১০টি করণীয়
১. প্রচুর জল পান করুন:
অধিক জল খাওয়া শীতকালে ত্বককে সুরক্ষিত এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। অনেকে শীতকালে পানি কম খান, যা মোটেও ঠিক নয়। বরং শীতকালে পানি বেশি খেতে হয়, যাতে ত্বক আর্দ্র থাকে। অনেকে শীতের কারণে গোসল করা থেকে বিরত থাকেন, এটাও ঠিক নয়। শীতে প্রতিদিন সামান্য উষ্ণ পানিতে গোসল করা প্রয়োজন। তবে বেশি উষ্ণ পানি ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হতে পারে।
২. ত্বকের মোস্চারাইজার ব্যবহার করুন:
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকতে মোস্টারাইজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলি নিখুঁত রাখে এবং শুষ্কতা দূর করে। শীতের শুরুতে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়, ঠোঁট ফেটে যায়, হাত ও পা ফেটে যেতে পারে, ফলে চুলকানিও হতে পারে। তাই এই অবস্থায়, পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল এবং বডি লোশন ব্যবহার করা সহজ। তবে, সবচেয়ে উপকারী হলো প্রাকৃতিক অলিভ অয়েল, যেটিতে কোনও রাসায়নিক যোগান নেই। গোসলের পরে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা উচিত। তবে, শর্ষের তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি আপনি চান, তাহলে কিছু সময় ধরে বিশুদ্ধ নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছ্ন্ন থাকুন:
শীতকালে পরিষ্কার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা মৌসুমে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য উষ্ণতা বজায় রাখা অনেক জরুরি। এটি রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। সানিটাইজার এবং মাস্ক ব্যবহারে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া না ছড়ায়।
৪. প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার:
প্রাকৃতিক অলিভ অয়েল অথবা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
৫. সুতির পোশাক পরার চেষ্টা করুন:
শীতকালে নরম সুতির পোশাক পরালে ত্বক সুরক্ষিত থাকে এবং বিচিত্র ধরনের প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
৬. গায়ে রোদ লাগান
শীতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে থাকা দরকার। এতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাবে। ভিটামিন ডি ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ করে এবং বার্ধক্য রোধ করে।
৭. সুতির মোজা ব্যবহার:
মোজার ব্যবহার অত্যন্ত দরকার, এটি পা কে ঠান্ডা রাখে এবং ত্বককে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৮. ঘুমের পর্বে ভারী ক্রিম ব্যবহার (সাবধানতা সহ):
রাতে ঘুমানোর পূর্বে ভারী ক্রিম ব্যবহার করতে সতর্ক হতে হবে। ত্বকে নরম হয়ে যাওয়ার সময় তা এবং দুর্গম অবস্থা হয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, তাতে ত্বক সুস্থ থাকতে পারে।
৯. ভালো করে মুখ ও মাথা ধোয়া:
গোসলে সামান্য উষ্ণ জলে মুখ ও মাথা ধোয়া এবং এরপর ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। এটি নিয়মিত করলে মুখের ত্বক অনেক মসৃণ থাকে।
১০. ত্বকের যত্নে যত্নশীল খাবার খান নিয়মিত:
ত্বকের সুস্থ থাকার জন্য সজীব, যত্নশীল খাবার গ্রহণ করতে হবে, যেমন ফল, শাকসবজি, প্রোটিনের সমৃদ্ধির জন্য মাংস।
এই ১০ টি পদক্ষেপে শীতকালে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখা যায়, যা ত্বককে আরও সুদৃঢ়, আর্দ্র এবং সুস্থ করতে সাহায্য করতে পারে।



Post a Comment