৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রশ্নের উত্তর ২০২৪ | Class 9 History and Social Sciences Half yearly Exam Question Answer 2024

Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রশ্নের উত্তর ২০২৪ | Class 9 History and Social Sciences Half yearly Exam Question Answer 2024

৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রশ্নের উত্তর ২০২৪ | Class 6 History and Social Sciences Half yearly Exam Question Answer 2024

৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান প্রশ্নের উত্তর

৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রশ্নের উত্তর ২০২৪ | Class 6 History and Social Sciences Half yearly Exam Question Answer 2024
৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রশ্নের উত্তর ২০২৪ | Class 6 History and Social Sciences Half yearly Exam Question Answer 2024
৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রশ্নের উত্তর ২০২৪ | Class 6 History and Social Sciences Half yearly Exam Question Answer 2024

উপরের নির্দেশনা অনুসারে নমুনা সমাধান


৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রশ্নের উত্তর ২০২৪

কাজ ১: চলো একে অপরের পরিবার সম্পর্কে জানি


ক) নিজ পরিবার

আমার পরিবারের তথ্য:

ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট: ঢাকা শহরের মিরপুর এলাকায় আমাদের বাসা। এটি একটি শহুরে এলাকা যেখানে নানা শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে।

সামাজিক প্রেক্ষাপট: আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার। আমাদের পরিবারের সবাই শিক্ষিত এবং সংস্কৃতিমনা। বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং মা গৃহিণী।

সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট: আমাদের পরিবারে বাংলা সংস্কৃতির প্রচলন রয়েছে। পহেলা বৈশাখ, পুজা, ঈদ এসব উৎসব আমরা ঘটা করে পালন করি।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: আমাদের পরিবার রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন। বাবা একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত নন।


আমার পরিবারের সদস্যদের আচরণিক প্যাটার্ন:

বাবা: শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং দায়িত্বশীল। পরিবারের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালনা করেন।

মা: যত্নশীল এবং সহানুভূতিশীল। পরিবারের সকল সদস্যদের দেখাশোনা করেন।

আমি: বন্ধুদের সাথে মিশতে ভালোবাসি এবং পড়াশোনায় মনোযোগী।

ছোট ভাই: খেলাধুলায় আগ্রহী এবং মিশুক স্বভাবের।


খ) নিজ ও সহপাঠির পরিবারের আচরণের বৈচিত্র

আমার ও সহপাঠীর পরিবারের সদস্যদের ভৌগোলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আত্মপরিচয়ের বৈচিত্র্য:

ভৌগোলিক বৈচিত্র্য: 

  • আমার পরিবার শহরে বসবাস করে, যেখানে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
  • সহপাঠীর পরিবার গ্রামে বসবাস করে, যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং কৃষিকাজ প্রধান।

  

সামাজিক বৈচিত্র্য: 

  • আমার পরিবার মধ্যবিত্ত, যেখানে শিক্ষার গুরুত্ব বেশি।
  • সহপাঠীর পরিবার কৃষিজীবী, যেখানে কৃষিকাজ প্রধান জীবিকা।

  

সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য: 

  •   আমার পরিবার শহুরে সংস্কৃতি অনুসরণ করে। আমরা পহেলা বৈশাখ, পুজা এবং ঈদ পালন করি।
  •   সহপাঠীর পরিবার গ্রামীণ সংস্কৃতি অনুসরণ করে। তারা নবান্ন, পহেলা বৈশাখ এবং গ্রামের মেলা পালন করে।

  

রাজনৈতিক বৈচিত্র্য: 

  •   আমার পরিবারে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয় তবে সক্রিয় অংশগ্রহণ নেই।
  •   সহপাঠীর পরিবারে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।


আমার ও সহপাঠীর পরিবারের সদস্যদের আচরণিক প্যাটার্নের বৈচিত্র্য:

বাবা: 

  •   আমার বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং দায়িত্বশীল।
  •   সহপাঠীর বাবা মাঠে কাজ করেন এবং গ্রাম্য উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত।

মা: 

  •   আমার মা গৃহিণী এবং পরিবারের সকল সদস্যদের দেখাশোনা করেন।
  •   সহপাঠীর মা পরিবারে কৃষিকাজে সহায়তা করেন এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন।

  

আমি এবং সহপাঠী: 

  •   আমি শহুরে পরিবেশে বড় হয়েছি, পড়াশোনা এবং বন্ধুদের সাথে মিশতে ভালোবাসি।
  •   সহপাঠী গ্রামের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে এবং কৃষিকাজে সহায়তা করে।

  

ছোট ভাই: 

  •   আমার ছোট ভাই খেলাধুলায় আগ্রহী এবং মিশুক স্বভাবের।
  •   সহপাঠীর ছোট ভাই গ্রামীণ খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে এবং পোষা প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধ দেখায়।


গ) পরিবারে আমার অবস্থান ও ভূমিকা


আমার অবস্থান ও ভূমিকা:

আমার পরিবারে আমি বড় সন্তান। ফলে আমার ওপর কিছু বাড়তি দায়িত্ব আছে। আমি পরিবারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত দিই এবং ছোট ভাইকে পড়াশোনায় সাহায্য করি। পরিবারের সুখ-দুঃখের সময় আমি পাশে থাকার চেষ্টা করি। এছাড়া বাবা-মায়ের নির্দেশনা মেনে চলি এবং পরিবারের নিয়ম-কানুন মানি।


পরিবারের সাথে সহপাঠীর পরিবারের তুলনামূলক পার্থক্য:

  • অর্থনৈতিক পার্থক্য: আমার পরিবার শহুরে এবং মধ্যবিত্ত, যেখানে সহপাঠীর পরিবার গ্রামীণ এবং কৃষিজীবী।
  • শিক্ষা ও জীবিকা: আমার পরিবারের সদস্যরা শিক্ষিত এবং চাকরিজীবী, যেখানে সহপাঠীর পরিবারের সদস্যরা কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল।
  • সাংস্কৃতিক পার্থক্য: শহুরে সংস্কৃতির প্রভাব আমার পরিবারে বেশি, যেখানে সহপাঠীর পরিবার গ্রামীণ সংস্কৃতির সাথে বেশি সম্পৃক্ত।
  • রাজনৈতিক সচেতনতা: আমার পরিবার রাজনৈতিক সচেতন হলেও সক্রিয় নয়, কিন্তু সহপাঠীর পরিবার স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

এই বৈচিত্র্যগুলো আমাদের পরিবার এবং সহপাঠীর পরিবারের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ভিন্নতা সৃষ্টি করেছে যা আমাদের সমাজের একটি সুন্দর প্রতিচ্ছবি।


 কাজ ২: পরিবার থেকে সমাজ


ক) নববর্ষে আমার ও সহপাঠীর পরিবার

নববর্ষ উদযাপন নিয়ে আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পন্ন করব। 


জোড়া গঠন ও প্রশ্ন তৈরি:

প্রথমে আমরা জোড়া গঠন করব এবং নববর্ষ উদযাপন নিয়ে কিছু প্রশ্ন তৈরি করব। প্রশ্নগুলো নিম্নরূপ:

1. তোমাদের পরিবার নববর্ষ কীভাবে উদযাপন করে?
2. নববর্ষ উদযাপনের আগে তোমাদের কি কি প্রস্তুতি থাকে?
3. নববর্ষ উদযাপনে কোন কোন সামাজিক উপাদান থাকে?
4. নববর্ষ উদযাপনে কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদান উল্লেখযোগ্য?
5. তোমাদের পরিবারের নববর্ষ উদযাপনে বিশেষ কোনো ঐতিহ্য বা রীতি আছে কি?


তথ্য সংগ্রহ:

এই প্রশ্নগুলো আমরা একে অপরের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করব। প্রতিজোড়ায় ৩০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।


উদাহরণস্বরূপ একটি সাক্ষাৎকারের উত্তরের বিশ্লেষণ:

সহপাঠীর পরিবারে নববর্ষ উদযাপন:

১. উদযাপন প্রক্রিয়া: সহপাঠীর পরিবার নববর্ষের দিন ঘর পরিষ্কার করে, নতুন পোশাক পরে, গ্রামের মেলায় যায় এবং পান্তা-ইলিশ খায়। তারা সকালে মন্দিরে গিয়ে পূজা করে এবং পরিবারের সকলের জন্য বিশেষ রান্নার আয়োজন করে।

২. প্রস্তুতি: নববর্ষের আগে তারা ঘর পরিষ্কার করে, আলপনা আঁকে এবং নতুন পোশাক কিনে।

৩. সামাজিক উপাদান: নববর্ষ উদযাপনে গ্রামের সবাই মিলে মেলায় অংশগ্রহণ করে, গ্রামীণ নাটক, যাত্রা এবং গান-বাজনা হয়।

৪. প্রাকৃতিক উপাদান: নববর্ষের দিন তারা নদী বা পুকুরে গা ধুয়ে নেয় এবং গ্রামের সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করে। তারা পান্তা-ইলিশ খাওয়ার মাধ্যমে স্থানীয় কৃষিজ পণ্যের প্রাধান্য দেয়।

৫. বিশেষ রীতি: নববর্ষের দিন পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য সবাইকে আশীর্বাদ করে এবং ছোটদের নতুন জামা-কাপড় উপহার দেয়।


 খ) প্রতিবেদন পাঠ

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:

পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাংলা সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে ১৫৫৬ সালে বাংলা সন প্রবর্তনের মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়। এই নতুন সনটি 'ফসলি সন' নামে পরিচিত ছিল যা পরে বঙ্গাব্দ হিসেবে পরিচিতি পায়। ফসলি সনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ফসল উৎপাদনের সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে খাজনা আদায় করা।

ইংরেজ আমলে ইংরেজরা তাদের নববর্ষ ঘটা করে উদযাপন করতো, যা দেখে বাঙালিরাও নিজেদের নববর্ষ উদযাপন শুরু করে। পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের নববর্ষ উদযাপনে বাধা দেওয়া হলেও বাঙালিরা তাদের সংস্কৃতি ধরে রাখে। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপনে রমনা বটমূলে রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রচলন শুরু হয়।


গ) সাক্ষাৎকার ও প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে খাতায় উপস্থাপন

সাক্ষাৎকার থেকে প্রাপ্ত তথ্য:

আমরা ইতোমধ্যে নিজ ও সহপাঠীর পরিবারে উদযাপিত পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছি। উপরের প্রতিবেদন থেকে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা এই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করব এবং খাতায় লিখব।


বিষয়: ১ পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাসে বাংলার ভূ-প্রকৃতি ও সামাজিক উপাদানের প্রভাব

ভূ-প্রকৃতির প্রভাব: পহেলা বৈশাখ উদযাপন মূলত ফসল উৎপাদনের ঋতুচক্রের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে। ফসল তোলার পর নতুন বছরের শুরুতে খাজনা আদায় এবং নতুন বছরের পরিকল্পনা করা হতো।

সামাজিক উপাদানের প্রভাব: পহেলা বৈশাখের দিন গ্রামে মেলা বসা এবং সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এটি গ্রামের মানুষের একত্রিত হওয়ার এবং আনন্দ ভাগাভাগি করার একটি সুযোগ সৃষ্টি করে।


বিষয়: ২ পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাঙালির সংস্কৃতিতে পরিণত হওয়ার পেছনে প্রকৃতি ও সমাজের প্রভাব

প্রাকৃতিক প্রভাব: বাংলার সবুজ প্রকৃতি, নদী-নালা এবং ফসলি মাঠ পহেলা বৈশাখ উদযাপনে একটি স্বাভাবিক প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করেছে। ফসলের ঋতুর সাথে নববর্ষের সম্পর্ক বাঙালির জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।

সামাজিক প্রভাব: পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি অঙ্গ। এটি বাঙালির সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। নববর্ষ উদযাপনে সামাজিক মেলবন্ধন, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রচার ঘটে।

৯ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রশ্নের উত্তর ২০২৪


 কাজ ৩: চেতনায় দেশ ও মানুষ

আমরা এরমধ্যে বুঝতে পেরেছি বাঙালির সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখ উৎসব উদযাপনে রয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। পাকিস্তান আমলে বাঙালিরা তাদের সংস্কৃতি ধরে রেখেছে এবং এই উদযাপনকে জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এই চেতনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের এলাকার মানুষের জন্য একটি নিঃস্বার্থ কাজ করার পরিকল্পনা করতে হবে। আমরা দলে বসে এই কাজের পরিকল্পনা করব।


কর্মপরিকল্পনা

কর্মপরিকল্পনার নাম: “সবাই মিলে সবুজ করি”

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:  

আমাদের এলাকার পরিবেশ রক্ষা এবং সবুজায়ন নিশ্চিত করা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকার মানুষকে পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা এবং এলাকার সবুজায়ন বৃদ্ধি করা।

কার্যক্রমের বিবরণ:  

আমরা দল গঠন করে এলাকার স্কুল, মসজিদ, মন্দির এবং খেলার মাঠে গাছ লাগানোর কার্যক্রম চালাব। এছাড়া এলাকার প্রতিটি পরিবারকে একটি করে গাছ উপহার দেব এবং তাদেরকে গাছ লাগানোর এবং পরিচর্যার উপকারিতা সম্পর্কে জানাব।

কার্যক্রমের ধাপ:  

১. প্রাথমিক প্রস্তুতি:

  • এলাকার মানচিত্র তৈরি এবং উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ।
  • বৃক্ষরোপণের জন্য প্রয়োজনীয় গাছের চারা সংগ্রহ।
  • কর্মসূচির প্রচারণার জন্য পোস্টার, লিফলেট তৈরি।
  • স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ এবং অনুমতি গ্রহণ।

২. দলের কাজ ভাগাভাগি:

  • পরিকল্পনা দল: কাজের পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে।
  • সংগ্রহ দল: গাছের চারা সংগ্রহ এবং বিতরণ করবে।
  • প্রচার দল: এলাকার মানুষকে এই কর্মসূচি সম্পর্কে জানাবে এবং অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে।
  • বাস্তবায়ন দল: গাছ লাগানোর কাজ করবে এবং স্থানীয় মানুষকে প্রশিক্ষণ দেবে।

৩. বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম:

  • নির্ধারিত স্থানে গাছের চারা রোপণ।
  • প্রতিটি পরিবারে একটি করে গাছ বিতরণ এবং রোপণের সঠিক পদ্ধতি বুঝিয়ে দেওয়া।
  • গাছের পরিচর্যার জন্য স্থানীয় মানুষদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া।

৪. পরবর্তী কার্যক্রম:

  • গাছের পরিচর্যার অবস্থা নিয়মিত তদারকি করা।
  • এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ সেমিনার আয়োজন।
  • স্থানীয় মানুষদের নিয়ে পরিবেশ বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন।

সময়ের সারণি:  

  • প্রথম সপ্তাহ: পরিকল্পনা এবং প্রাথমিক প্রস্তুতি।
  • দ্বিতীয় সপ্তাহ: চারা সংগ্রহ এবং প্রচারণা কার্যক্রম।
  • তৃতীয় সপ্তাহ: বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম এবং প্রশিক্ষণ।
  • পরবর্তী মাস: নিয়মিত তদারকি এবং সচেতনতা কার্যক্রম।

উপকৃত মানুষের সংখ্যা:  

এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের এলাকার প্রায় ২০০ পরিবার উপকৃত হবে। এছাড়া এলাকার স্কুল, মসজিদ, মন্দির এবং খেলার মাঠের পরিবেশ উন্নত হবে।

সহায়তা:  

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন, স্কুল কর্তৃপক্ষ, এবং পরিবেশ বিষয়ক সংগঠনের সহায়তা নেব।

মূল্যায়ন:  

প্রতিমাসে আমাদের দল বৃক্ষরোপণের অবস্থা তদারকি করবে এবং একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা পরবর্তী কার্যক্রমের পরিকল্পনা করব।

উপসংহার:  

এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এলাকার পরিবেশের উন্নতি করতে পারব এবং স্থানীয় মানুষকে পরিবেশ সচেতন করতে পারব। সবাই মিলে কাজ করলে আমাদের এলাকা সুন্দর এবং সবুজ হবে। আমাদের এই উদ্যোগ এলাকার মানুষের মধ্যে একতা এবং সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করবে। 

এই কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করে আমরা আমাদের এলাকাকে সবুজ এবং বাসযোগ্য করে তুলতে পারব


নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now

Post a Comment