(জেনে রাখুন) আরবি বারো মাসের নাম বাংলা, আরবি ও ইংরেজিতে | আরবি বারো মাসের নামকরণের কারণ সমূহ | Arabic Twelve Month Names in Bengali,

Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

আজকের পোস্টে আমরা আরবি ১২ মাসের নাম অর্থ সহ আলোচনা করব। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি শিখবেন কিভাবে খুব সহজেই আপনার সন্তানকে আরবি মাসের নাম গুলো মুখস্ত করানো যায়।



আরবি বারো মাসের নামঃ


আরবি বারো মাসের নামঃ

ক্রম
আরবি
নাম
বাংলা
উচ্চারণ
ইংরেজি
নাম
০১محرمমহররমMoharram
০২.صفرসফরSofor
০৩.ربيع الاولরবিউল আউয়ালRobiul Awal
০৪.ربيع الثانيরবিউস সানিRabius Sani
০৫.جمادى الاولজমাদিউল আউয়ালJamadiul Awal
০৬.جمادي الثانيজমাদিউস সানিJamadius Sani
০৭.رجبরজবRajab
০৮.شعبانশাবানShaban
০৯.رمضانরমজান
১০.شوالশাওয়ালShawal
১১.ذي القدজিলক্বদJelkad
১২.ذي الحجজিলহজ্জJilhaj


আরবি ১২ নাম নামকরণের কারণঃ

মহররমঃ এ মাসে জাহেলি যুগে যেকোনো প্রকারের যুদ্ধবিগ্রহ ও রক্তপাত করা হারাম এবং বে-আইনি ছিল। একারণে এ মাসকে মুহাররমুল হারাম নামকরণ করা হয়েছে।

সফর : সফর শব্দটি মূলত সিফর থেকে নির্গত। এর অর্থ হচ্ছে হওয়া। জাহেলি যুগে এ মাসের মধ্যে লোকেরা যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেলে বাড়ি-ঘর খালি হয়ে যেত, এইজন্য সফরের মাসের নাম রাখা হয়েছে সফর।

রবিউল আউয়াল : এ রবিউল আউয়াল মাসের নামকরণকালে ফসলে রবি, অর্থাৎ বসন্তকাল ছিল। এজন্য মাসের নামকরণ হয়েছে রবিউল আউয়াল।

রবিউস সানি : এর নামকরণকালে বসন্তের শেষার্ধে পড়ার কারণে রবিউল আখের বা সম্পন্ন মধুমাস নাম রাখা হয়।

জমাদিউল আউয়াল : জুমাদা শব্দটি আগত জুমুদ থেকে। এর টাকা-পয়সা হচ্ছে জমে যাওয়া, স্থবির হওয়া। যখন এই মাসের নাম রাখা হয়, তখন ঠাণ্ডার কাল আরম্ভ হয়, কেননা ঠাণ্ডার কারণে বেশির ভাগ জিনিস জমে যায়। এ জন্য এই মাসের নাম এভাবে রাখা হয়েছিল।

জমাদিউস সানি : এ মাসের নাম রাখার রিজন হলো, এ মাসের শেষে শীতের প্রচণ্ডতায় জল পর্যন্ত জমে যেত। এজন্য এর নাম রাখা হ জমাদিউস সানি।

রজবঃ রজিব ওয়ার্ড হতে রজব শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে। এর টাকা-পয়সা করা। যেহেতু এ মাসকে আরবরা করত এবং শাহরুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর মাস বলত, তাই এই মাসের নাম রজব বা সম্মানিত মাস রাখা হয়।

শাবান : শাব শব্দ থেকে শাবান শব্দটির আবির্ভাব হয়েছে। এর টাকা-পয়সা হলো বের হওয়া, প্রকাশ হওয়া, বিদীর্ণ হওয়া। এ মাসের মধ্যে ব্যাপক অনুগ্রহ পাবলিশ করা হয়, মানুষের রিজিক উদ্ভাবন এবং বণ্টিত হয় এবং তাকদিরের ফয়সালাগুলোও বণ্টন করে দেওয়া হয়। এজন্য এ মাসের নাম শাবান রাখা হয়েছে।

রমজান : রমজান শব্দের মৌলিক অর্থ হচ্ছে জ্বালানো-পোড়ানো। যেহেতু এই মাসের মধ্যে মুমিনের গুনাহগুলো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হয়। এজন্য এ মাসের নাম রমজান।

শাওয়াল : শাওয়াল শব্দটি ‘শাওল’ মূলধাতু হতে নির্গত। এর অর্থ হলো বাইরে করা। এখানে আরববাসী নিজস্ব ঘরবাড়ি ত্যাগ করে ভ্রমণে যেত। এজন্য এর নামকরণ করা হয় শাওয়াল।

জুলকদ/জিলকদ : ‘জুল/জিল’ অর্থ ওয়ালা আর ‘কাদাহ’ টাকা-পয়সা হচ্ছে বসা। এই মাস সম্মানিত মাসের একটি। আরবরা এই মাসের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ অফ করে বাড়িতে বসে থাকত।

জুলহজ্ব/জিলহজ্ব : জুলহজ্ব/জিলহজ্ব শব্দটি হয়তো হাজ্জাহ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর টাকা-পয়সা একবার হজ করা। পক্ষান্তরে শব্দটি ‘হিজ’ শব্দ হতে নেওয়া হয়েছে। এর মানে অর্থবছর। যেহেতু এই মাস বছরের শেষাংশে আসে ও এর দ্বারাই পূর্ণ বর্ষের সমাপ্তি ঘটে, তাই এই মাসের নামকরণ হয়েছে জুলহজ্ব/জিলহজ্ব।




নিত্য নতুন পোষ্ট পেতে Helptrickbd এর সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ।

নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now

Post a Comment