জনসংখ্যা পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামকসমূহ কি কি?

Follow Our Official Facebook Page For New Updates


Join our Telegram Channel!

প্রশ্ন : জনসংখ্যার পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামকসমূহ আলোচনা কর। অথবা, জনসংখ্যা পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামকসমূহ কি কি? আলোচনা কর।

জনসংখ্যা পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামকসমূহ

ভূমিকা : জনসংখ্যা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান সম্পদ। জনসংখ্যা তত্ত্বটি স্থিতিশীল নয় বরং পরিবর্তনশীল। জনসংখ্যা সর্বদা একই রকম থাকে না। কখনও হ্রাস পায় আবার কখনও বৃদ্ধি পায়। 

সাধারণভাবে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের জনসংখ্যার পরিমাণগত পার্থক্যকে জনসংখ্যার পরিবর্তন হিসেবে অভিহিত করা হয়। 

জনসংখ্যার পরিবর্তন বলতে হ্রাস বা বৃদ্ধি উভয়কেই বোঝায়। জনসংখ্যা সবর্দা পরিবর্তনশীল একটি ধারণা। জনসংখ্যার হ্রাসবৃদ্ধি উভয়ই ঘটতে পারে। জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধির পেছনে কতগুলো নিয়ামক কাজ করে থাকে। 

জনসংখ্যার পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামকসমূহ : 

জনসংখ্যা পরিবর্তনের পেছনে নানা কারণ বিদ্যমান। তবে জনবিজ্ঞানীরা জনসংখ্যার পরিবর্তনের উপর প্রভাব বিস্তারকারী নিয়ামক হিসেবে ৩টি প্রধান উপাদানকে চিহ্নিত করেছেন। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা করা হলো।

১. প্রজননশীলতা : 

প্রজননশীলতা হল কোনো নারীর সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা। অন্যভাবে বলা যায়, প্রজননশীলতা বলতে সাধারণত কোন নারী বা নারী সমষ্টির জীবিত সন্তান জন্মানোর প্রকৃত সংখ্যাকে নির্দেশ করে বা জীবিত সন্তান জন্মদানের ক্ষমতাকে নির্দেশ করে। 

জাতিসংঘের "The Determinants and Consequences of Population Trendsh গ্রন্থে, জন্মহার নিয়ন্ত্রণ ছাড়া প্রজননকে স্বাভাবিক প্রজনন বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রেক্ষিতে প্রজননকে নিয়ন্ত্রিত প্রজনন বলে। 

কোন জনসংখ্যার নীট অভিগমন স্থিতিশীল এবং মরণশীলতা স্থিতিশীল থাকলে উচ্চ প্রজননশীলতা মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং বিপরীত অবস্থায় জনসংখ্যা হ্রাস করে।

২. মরণশীলতা : 

মরণশীলতা বলতে মানুষের জীবনের স্বাভাবিক নিঃশেষ হয়ে যাওয়াকে বুঝায় যা জনসংখ্যা পরিবর্তনের অন্যতম একটি উপাদান। মরণশীলতার ফলে জনসংখ্যার পরিবর্তন ঘটে। 

স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, যদি কোনো দেশের জন্মহার ও নীট অভিগমন স্থিতিশীল থাকলে ঐ দেশে মৃত্যুহারের যদি হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে তবে জনসংখ্যার হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটবে। কোনো দেশে প্রজননশীলতা অপেক্ষা যদি মরণশীলতা বেশী হয় তবে ঐ দেশের জনসংখ্যা হ্রাস পাবে। 

আবার যদি প্রজননশীলতা অপেক্ষা মরণশীলতা কম হয় তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশে মরণশীলতা কম বলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৩. নীট স্থানান্তর/নটি অভিগমন : 

নীট স্থানান্তর বা নীট অভিগমনের মাধ্যমে জনসংখ্যার পরিবর্তন হয়ে থাকে । যদি কোনো দেশের বহির্গমন এবং বহির্গমনের মাঝে পার্থক্য সূচিত হয় তবে জনসংখ্যার পরিবর্তন হয়ে যায়। 

কোন দেশের জনসংখ্যার বহির্গমন এবং বহির্গমন পার্থক্যকে নীট স্থানান্তর বা নীট অভিগমন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। নীট অভিগমন যদি ধনাত্মক বা ঋণাত্মক হলে কোনো দেশের মোট জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটতে পারে। 

কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নীট স্থানান্তর বা নীট অভিগমন তেমন প্রভাব বিস্তার করে না; বরং প্রজননশীলতা এবং মরণশীলতার প্রভাবে জনসংখ্যার হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে।

উপসংহার :

পরিশেষে বলা যায় যে, জনসংখ্যা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মূলত অনেক উপাদানই কাজ করে। কিন্তু প্রজননশীলতা, মরণশীলতা ও নীট অভিগমন সকল দেশেই জনসংখ্যা পরিবর্তনের পেছনে কাজ করে। 

নিয়ন্ত্রিত প্রজননের মাধ্যমে জন্মসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মরণশীলতা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। জনসংখ্যার হ্রাসের চেয়ে বর্তমান সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধিই বেশি হয়ে থাকে।

নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন

Telegram Group Join Now
Our Facebook Page Join Now
Class 8 Facebook Study Group Join Now
Class 7 Facebook Study Group Join Now
Class 6 Facebook Study Group Join Now

Post a Comment