সমাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য কি? অথবা, সমাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর। অথবা, সমাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে আলোচনা কর।
ভূমিকা: সমাজতন্ত্র বলতে এমন একটি পূর্ণাঙ্গ সমাজ ব্যবস্থাকে বুঝায়, যেখানে উৎপাদনের উপাদানগুলোর উপর ব্যক্তিগত মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজতন্ত্র একাধারে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মতবাদ। এ মতবাদ ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদের সম্পূর্ণ বিরোধী। সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসীদের মতে, রাষ্ট্র ব্যক্তির বন্ধু, দার্শনিক ও পথ-প্রদর্শক।
সমাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ :
নিচে সমাজতন্ত্রের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যাবলি তুলে ধরা হলো-
১. সামাজিক মালিকানা :
সমাজতন্ত্র ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানার নীতিতে বিশ্বাসী ।
২. রাজনৈতিক সাম্য :
সমাজতন্ত্র রাজনৈতিক সাম্যে বিশ্বাস করে। অর্থনৈতিক সাম্য ছাড়া রাজনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
৩. সমান সুযোগ-সুবিধা :
সমাজতন্ত্রে সাম্যের অর্থ 'সমান সুযোগ-সুবিধা। সমাজতন্ত্রের প্রবক্তাগণ মনে করেন, সকল প্রকারের অসাম্যই কৃত্রিম। সমাজের প্রত্যেক সদস্যকে অবশ্যই সমাজের বস্তুগত সুবিধা ভোগ করার সম-অধিকার প্রদান করতে হবে।
৪. কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা :
সমাজতন্ত্রকে বিশ্লেষণ করলে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা স্পষ্ট হয়ে উঠে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় ব্যক্তির একক পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যায়। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
৫. দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ :
সমাজতন্ত্র দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদে বিশ্বাসী। তাদের ভাষায়, প্রত্যেক বস্তুই একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। তারা পরস্পর নির্ভরশীল। এটির পরিবর্তন তাই অপরটিকে প্রভাবিত করে।
৬. পরিকল্পিত অর্থনীতি :
সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পরিকল্পিত অর্থনীতি লক্ষ্য করা যায়।
৭. সামাজিক ন্যায়বিচার :
সমাজতন্ত্র সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ব্যক্তিগত মালিকানা উচ্ছেদ করে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠাতে তারা বিশ্বাস করে।
উপসংহার :
পরিশেষে বলা যায়, সমাজতন্ত্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সকল অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সকল নাগরিকের সম-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা। এটা পুঁজিবাদীদের বিরুদ্ধবাদী মতবাদ
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com