৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান - Class 7 Digital Technology Annual Summative Assessment Solution
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, ৭ম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের প্রথম কর্ম দিবস এর সমাধান নিচে ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরা হলো। যদি কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজে অথবা নিচে কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে পারো।
৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান
ধাপ ১ (প্রথম কর্মদিবস : ৯০ মিনিট)
কাজ ১:
* শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে জোড় সংখ্যক দলে ভাগ করে দিবেন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন দলেই যেন ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী না থাকে । দলগুলোকে ১, ২, ৩, ৪ ... এভাবে নামকরণ (নম্বরিং) করবেন।
- থিম ১- সাইবার নিরাপত্তা হেল্প ডেস্ক বেজোড় নম্বর (১, ৩, ৫...) দলগুলো এটি তৈরির কাজ করবে।
- থিম ২ - নাগরিক সেবা হেল্প ডেস্ক জোড় নম্বর (২, ৪, ৬...) দলগুলো এটি তৈরির কাজ করবে।
সমাধান:
প্রিয় শিক্ষার্থীরা কাজ-১ এর মধ্যে আমার সমাধান করার মতো কিছুই নেই। তাই এটি বাদ দেয়া হলো। এই কাজটি তোমাদের স্কুলেই বলে দেয়া হবে।
কাজ ২:
সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে যে দলগুলো কাজ করবে তারা দলে বসে তাদের পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজন কী ধরনের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তার তালিকা তৈরি করবে।
একই ভাবে নাগরিক সেবা নিয়ে কাজ করা দলগুলোর সব সদস্য দলে বসে তাদের পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজনের কী ধরনের নাগরিক সেবা প্রয়োজন হয় তার তালিকা তৈরি করবে।
দুই দলকেই শিক্ষক সমস্যা চিহ্নিতকরণে যথাযথ সহায়তা প্রদান করবেন। পাশাপাশি এক দল অন্য দলকেও সমস্যা চিহ্নিত করণে সহায়তা প্রদান করবে।
সবগুলো সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি এবার শিক্ষার্থীরা মিলে একটি কাগজে লিখে ফেলবে প্রতিটি সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিকে আলাদা আলাদা কোডিং (নাম্বারিংহ) করবে।
একই ভাবে সবগুলো নাগরিক সেবাকেও শিক্ষার্থীরা একটি কাগজে লিখে ফেলবে এবং আলাদা আলাদা কোডিং (নাম্বারিং) করবে।
আরো পড়ুন:
৭ম শ্রেণি বাংলা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান
কাজ-২
সমাধান:
১. তোমার পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজন কী ধরনের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখিন হয়, তার তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: আমার পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজন যে ধরনের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখিন হয়, তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. সাইবার বুলিং।
২. সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক।
৩. ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্য হ্যাক।
৪. মোবাইল ব্যাংকিংয়ের টাকা আত্মসাৎ।
৫. গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ান।
২. তোমার পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজনের কী ধরনের নাগরিক সেবার প্রয়োজন হয়, তার তালিকা তৈরি করো।
উত্তর: আমার পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজনের যে ধরনের নাগরিক সেবার প্রয়োজন হয়, তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ।
২. অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ ।
৩. ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণ ।
৪. ঘরে বসে মোবাইলে পরীক্ষার ফলাফল জানা।
৫. ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রত্যয়নের জন্য আবেদন করা।
আরো পড়ুন:
৭ম/সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা PDF
৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান
কাজ-৩
শিক্ষার্থীরা যেসকল সাইবার নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকি / সমস্যা চিহ্নিত করেছে সেগুলোকে শিক্ষক বেজোড় নম্বর দলগুলোর মাঝে ভাগ করে দিবেন। প্রতিটি দল তাদের জন্য নির্ধারিত ঝুকিসমূহ মোকাবেলার উপায় নির্ণয় করে আলাদা আলাদা কাগজে লিখবে।
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.১ ও ৭.৮ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.১.১ ও ৭.৮.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
একইভাবে অন্যদলের শিক্ষার্থীরা যেসকল নাগরিক সেবা চিহ্নিত করেছে সেগুলোকে শিক্ষক জোড় নম্বর দলগুলোর মাঝে ভাগ করে দিবেন প্রতিটি দল তাদের জন্য নির্ধারিত নাগরিক সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতিগুলো নির্ণয় করে আলাদা আলাদা কাগজে লিখবে।
শিক্ষার্থীর এই কাজ দেখে যোগ্যতা ৭.১ ও ৭.৫ এর পারদর্শিতার নির্দেশক ৭.১.১ ও ৭.৫.১ মূল্যায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাঝে কাজঙওলো এমনভাবে ভাগ করে নিবে যাতে প্রতোক শিক্ষার্থীকেই কোন না কোন সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বা নাগরিক সেবা প্রাণির পদ্ধতি নিয়ে কাজ করতে হয়।
এক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের কাজটি শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে জিজ্ঞেস করে, বিভিন্ন বই পড়ে বা ইন্টারনেট থেকে সহায়তা নিয়ে করতে পারবে ৷ কমার্দৰস ২ শুরুর আগেই তথ্যওলো (সাইবার নিরাপত্তার কুকি ও নাগরিক সেবার প্রাপ্তির পদ্ধতি) সংগ্রহ করে আলাদা আলাদা কাগজে লিখে ফেলতে হবে।
কাজ-৩
সমাধান:
সাইবার নিরাপত্তায় নির্ধারিত ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলার উপায় নির্ণয় করো।
উত্তর: সাইবার নিরাপত্তায় নির্ধারিত ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলার উপায় নিচে তুলে ধরা হলো:
১. সাইবার বুলিং:
অনলাইনে কাউকে গালি দেওয়া, আপত্তিকর মন্তব্য করা বা ব্যক্তি মনে কষ্ট পায় এমন কার্যকলাপে অংশ নেওয়াকে সাইবার বুলিং বলা হয়। অধিকাংশ ব্যক্তিই অনলাইনে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে থাকেন। আর তাই সাইবার বুলিং প্রতিরোধে দেশে প্রচলিত আইন রয়েছে। সুতরাং কেউ যদি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে থাকে, তাহলে সে দ্রুত আইনের আশ্রয় নেবে।
২. সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক:
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক খুবই সচরাচর ঘটনা। অনুমতি ছাড়া অন্যের অ্যাকাউন্টের অনুপ্রবেশ করা বা অ্যাক্সেস নেওয়াকে হ্যাকিং বলে। হ্যাকিং প্রতিরোধে ব্যক্তি পর্যায়েই সচেতন হতে হবে। যেমন- সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকলে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, দ্বি-স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতে হ্যাকারের পক্ষে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। এরপরেও যদি হ্যাকার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে, তাহলে পুলিশের সাইবার বিভাগে অভিযোগ করতে হবে।
৩. ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্য হ্যাক:
এখনকার সময়ে কারো ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা বাজেভাবে উপস্থাপন করার ঘটনা বেড়েই চলছে। তাই এক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতন থাকতে হবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। নিজের এমন তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে হবে, যা দুষ্ট লোকেরা বাজে উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। এরপরেও ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হলে দ্রুত পুলিশের সাইবার বিভাগে অভিযোগ করতে হবে।
৪. মোবাইল ব্যংকিংয়ের টাকা আত্মসাৎ:
বর্তমানে দ্রুততম সময়ে টাকা লেনদেন করার ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিছু চক্র ব্যবহারকারীদের টাকা আত্মসাৎ করছে। তবে আমরা যদি নিজেরা সতর্ক ও সচেতন হই, তাহলে এ ধরনের অপরাধের পরিমাণ অনেকাংশেই কমে যাবে। যেমন- কেউ ফোন করে আমাদের কাছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পিন নম্বর চাইলে আমরা কখনোই তাকে তা দেব না। এমনকি গোপনীয় পিনের কোনো সংখ্যাবিশেষও তাকে বলব না। এতে করে উক্ত প্রতারক কখনোই আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে সক্ষম হবে না।
৫. গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ান:
সত্য নয় এমন তথ্য ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাকে গুজব বলে। গুজব একটি সামাজিক ব্যাধী। আমরা কখনোই গুজবে কান দেব না। কেউ কোনো তথ্য ছড়ালে আমরা বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে সেই তথ্যের ভিত্তি খোঁজার চেষ্টা করব। পাশাপাশি কোনো তথ্য গুজব বুঝতে পারলে সঠিক তথ্য কী হবে, তা সম্পর্কে আশেপাশের মানুষদেরকে সচেতন করব।
৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান
কাজ-৩
চিহ্নিত নাগরিক সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতিগুলো নির্ণয় করো।
উত্তর: আমার পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজনের যে ধরনের নাগরিক সেবার প্রয়োজন হয়, তা প্রাপ্তির পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:
১. অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ:
বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব। এরকম বহুল প্রচলিত কিছু মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ হচ্ছে- বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউ-পে ইত্যাদি। প্রথমেই নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর অ্যাপের ড্যাশবোর্ড থেকে পে বিল (Pay Bill) অপশন সিলেক্ট করে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পূরণ করে বিল পরিশোধ সম্পন্ন করতে হবে। প্রায় প্রতিটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিল পরিশোধ প্রক্রিয়া এক রকমই হয়ে থাকে।
২. অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ:
সরকার নাগরিক সেবা উন্নতকরণ করায় এখন জমির খাজনা পরিশোধ করতে ভূমি অফিসে যেতে হয় না। অনলাইনের মাধ্যমেই এটি খুব সহজে করা যায়। এর জন্য ইন্টারনেট সংযুক্ত রয়েছে এমন যেকোনো ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থেকে ভূমি উন্নয়ন কর' ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর জমির তথ্য পূরণ করে টাকা পরিশোধ করতে হবে। মুহুর্তেই মোবাইল ফোনে একটি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করে দেওয়া হবে যে, কর পরিশোধ সম্পন্ন হয়েছে।
৩. ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণ:
এখন সরকারী বিভিন্ন ভাতা ঘরে বসেই গ্রহণ করা যায়। একবার সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলে প্রতি নির্ধারিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাভোগীর মোবাইলে ভাতার টাকা প্রেরণ করা হয়। এরপর সুবিধাভোগী তার সময়-সুযোগমত সেই টাকা উত্তোলন করতে পারেন।
৪. ঘরে বসে মোবাইলে পরীক্ষার ফলাফল জানা:
একটা সময়ে পরীক্ষার ফলাফল জানার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় করতে হত। কিন্তু দেশ ডিজিটাল হওয়ায় তার আর প্রয়োজন নেই। মোবাইলে পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ডের নাম ও পরীক্ষার সন লিখে নির্ধারিত নম্বরে এসএমএস পাঠালেই ফিরতে এসএমএসে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু এসএমএস না, মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেও পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ মার্কশীট বের করা যায়।
৫. ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রত্যয়ন/সনদের জন্য আবেদন করা:
আমাদের নাগরিক। জীবনে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে বিভিন্ন ধরনের প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজন হয়। যেমন- নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, চারিত্রিক সনদ ইত্যাদি। এখন ঘরে বসেই 'ইউনিয়ন পরিষদ সেবা' ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রকার সনদের জন্য আবেদন করা যায়। নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করে সাবমিট দিলেই আবেদনটি দাখিল হয়ে যায়। এরপরে প্রয়োজনীয় যাচাই- বাছাই শেষে ইমেইলের মাধ্যমে সনদের পিডিএফ ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যা একজন নাগরিক খুব সহজেই প্রিন্ট করে নিতে পারেন।
সম্পূর্ণ সমাধানটির পিডিএফ পেতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
PDF Password: helptrickbd
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com