তৈরিকৃত এই প্রকল্প প্রস্তাবনা উপস্থাপন করার জন্য তোমাদের প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের আয়োজন/ইভেন্ট পারে? উক্ত ইভেন্টের জন্য একটি অনুষ্ঠানসূচি তৈরি করো।
সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা
বিষয়: বিদ্যালয় ও আশেপাশের পরিবেশ
প্রস্তাবনা তৈরি: ১ম অংশ
১. নির্বাচিত সমস্যার বর্ণনা
বিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং আশেপাশের এলাকার পরিবেশের উপর নানা ধরনের দূষণ ও অব্যবস্থাপনার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলো হলো:
বায়ুদূষণ: বিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকার যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া, ধুলাবালি, এবং শিল্প কারখানা থেকে নির্গত দূষিত পদার্থ বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। এর ফলে শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্ট, এলার্জি, এবং অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
জলদূষণ: বিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা এবং শিল্পবর্জ্য নির্গমনের কারণে জলাশয়গুলো দূষিত হচ্ছে। এটি শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাছপালা কমে যাওয়া: বিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে গাছপালা নেই। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বায়ু পরিশোধনের অভাব, এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
কচুরিপানা ও মশার উপদ্রব: জলাশয়গুলিতে কচুরিপানার আধিক্য এবং অপরিষ্কার পানি জমে থাকার কারণে মশার বংশবিস্তার বেড়ে যাচ্ছে, যার ফলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সচেতনতার অভাব: শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে সঠিক ধারণা এবং সচেতনতার অভাব রয়েছে। ফলে তারা নিজে থেকে পরিবেশ রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।
প্লাস্টিক দূষণ: বিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় প্লাস্টিকের বোতল, ব্যাগ ইত্যাদির ব্যবহারের ফলে প্লাস্টিক দূষণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এই সব সমস্যার সমাধানের জন্য একটি সমন্বিত সবুজ প্রকল্পের প্রয়োজন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকার পরিবেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
২. যৌক্তিকতা
এই প্রকল্প গ্রহণ করার প্রধান কারণ হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বিদ্যালয়ের পরিবেশকে দুষণমুক্ত রাখা, এবং আশেপাশের এলাকায় সবুজায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা। পরিবেশ দূষণের ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশবান্ধব মনোভাব গড়ে তোলা সম্ভব হবে এবং বিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকার পরিবেশ উন্নত হবে।
৩. প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশা সনাক্তকরণ
এই প্রকল্পের সাথে বিভিন্ন খাতভিত্তিক পেশা জড়িত রয়েছে, যা প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন এবং পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পেশাগুলোর মধ্যে কয়েকটি হল:
1. পরিবেশ বিজ্ঞানী:
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা পরিবেশ উন্নয়নের জন্য গবেষণা এবং পরামর্শ প্রদান করেন। তারা বায়ু, মাটি, এবং পানি দূষণ নিরূপণ করে এবং দূষণ কমানোর উপায় বের করেন। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
2. উদ্যানতত্ত্ববিদ:
উদ্যানতত্ত্ববিদরা গাছপালা রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন। তারা সবুজায়নের মাধ্যমে পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং বায়ু পরিশোধনে সাহায্য করেন। উদ্যানতত্ত্ববিদরা বিভিন্ন ধরনের গাছপালা নির্বাচন, রোপণ, এবং তাদের যত্নের পদ্ধতি নির্ধারণ করেন।
3. শিক্ষক:
শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য শিক্ষাদান করেন। তারা পরিবেশের গুরুত্ব, দূষণের প্রভাব এবং পরিবেশ সংরক্ষণে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা সম্পর্কে শিক্ষা দেন। তারা বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহিত করেন।
4. পরিবেশ প্রকৌশলী:
পরিবেশ প্রকৌশলীরা পরিবেশ দূষণ কমানোর প্রযুক্তি উন্নয়ন ও প্রয়োগ করেন। তারা বিভিন্ন দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। পরিবেশ প্রকৌশলীরা জলাধার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উৎস নিয়ে কাজ করেন।
5. জলবিজ্ঞানী:
জলবিজ্ঞানীরা জলাশয় এবং জলসম্পদ সংরক্ষণে কাজ করেন। তারা জল দূষণ নিরূপণ ও নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করেন। জলবিজ্ঞানীরা জলাশয়ের ইকোসিস্টেম বজায় রাখার জন্য গবেষণা ও পরামর্শ প্রদান করেন।
6. ইনফরমেশন টেকনোলজি (IT) বিশেষজ্ঞ:
IT বিশেষজ্ঞরা স্মার্ট সেন্সর, ড্রোন প্রযুক্তি এবং IoT (ইন্টারনেট অফ থিংস) ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও ডাটা বিশ্লেষণ করেন। তারা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমাধান প্রদান করে যাতে পরিবেশ সংরক্ষণ সহজ হয়।
7. সামাজিক কর্মী:
সামাজিক কর্মীরা স্থানীয় সম্প্রদায়কে প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত করেন এবং তাদের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করেন। তারা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করেন।
8. কমিউনিটি প্ল্যানার:
কমিউনিটি প্ল্যানাররা স্থানীয় উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করেন যা পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই হয়। তারা বিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় সবুজায়ন এবং পরিবেশ উন্নয়নের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
এই পেশাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রয়োজন। পরিবেশ বিজ্ঞান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং সামাজিক বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষাগ্রহণ এবং বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে এই পেশাগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কর্মসংস্থান ও পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে এই পেশাগুলোর চাহিদা বাড়ছে। এই পেশাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যেমন পরিবেশ বিজ্ঞান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, শিক্ষা প্রণালী এবং প্রকৌশলবিদ্যা।
প্রস্তাবনা তৈরি: ২য় অংশ
৪. ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রস্তাবিত সমাধান
এই প্রকল্পে নিম্নলিখিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে:
সোলার প্যানেল: বিদ্যালয়ে সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়।
ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT): স্মার্ট সেন্সরের মাধ্যমে বায়ু ও পানি দূষণ পর্যবেক্ষণ।
ড্রোন প্রযুক্তি: গাছপালা রোপণ ও পর্যবেক্ষণে ব্যবহার।
ভার্টিক্যাল গার্ডেনিং: বিদ্যালয়ের দেয়ালে সবুজায়ন প্রক্রিয়া।
এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে দূষণ কমানো এবং সবুজায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞানভিত্তিক ও যুক্তিনির্ভর প্রস্তাব হিসেবে এই প্রযুক্তিগুলো ভবিষ্যতে আরও কার্যকরী হবে।
৫. প্রকল্পকেন্দ্রিক সম্ভাব্য নতুন পেশার দক্ষতা অন্বেষণ
এই প্রকল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে জড়িত এবং ভবিষ্যতে সৃষ্টি হতে পারে এমন কয়েকটি নতুন পেশা এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার বিবরণ নিম্নরূপ:
সৌরশক্তি প্রযুক্তিবিদ:
দক্ষতা: সৌর প্যানেল স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ, বৈদ্যুতিক সার্কিট ও ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে জ্ঞান, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা।
ইতিবাচক দিক: নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, পরিবেশ বান্ধব শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়।
ঝুঁকিপূর্ণ দিক: প্রাথমিক স্থাপনার উচ্চ খরচ, প্রযুক্তির সাথে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা।
দক্ষতা অর্জনের উপায়: প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি ও প্রকৌশলবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা, সোলার প্যানেল ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণে প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং, ইন্টার্নশিপ ও সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম।
IoT বিশেষজ্ঞ:
দক্ষতা: সেন্সর নেটওয়ার্ক স্থাপন, ডাটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ, ক্লাউড কম্পিউটিং, প্রোগ্রামিং জ্ঞান।
ইতিবাচক দিক: উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি।
ঝুঁকিপূর্ণ দিক: ব্যক্তিগত ডাটা নিরাপত্তার ঝুঁকি, প্রযুক্তির উচ্চ খরচ।
দক্ষতা অর্জনের উপায়: IoT সম্পর্কিত কোর্স ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ, প্রোগ্রামিং ও ডাটা অ্যানালিসিসে দক্ষতা অর্জন, ইন্টার্নশিপ ও রিয়েল-টাইম প্রোজেক্টে অংশগ্রহণ।
ড্রোন অপারেটর:
দক্ষতা: ড্রোন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ, এয়ারোডায়নামিক্স ও রোবোটিক্স সম্পর্কে জ্ঞান, মানচিত্র তৈরি ও ডাটা অ্যানালিসিস।
ইতিবাচক দিক: গাছপালা রোপণ ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, দ্রুত ও কার্যকর কর্মপ্রক্রিয়া।
ঝুঁকিপূর্ণ দিক: ড্রোন পরিচালনায় সঠিক প্রশিক্ষণের অভাব, প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্ভাবনা।
দক্ষতা অর্জনের উপায়: ড্রোন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রশিক্ষণ গ্রহণ, সার্টিফিকেশন কোর্স, এয়ারোডায়নামিক্স ও রোবোটিক্সে উচ্চশিক্ষা।
উচ্চমানের উদ্যানতত্ত্ববিদ:
দক্ষতা: ভার্টিক্যাল গার্ডেনিং পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, পরিবেশবান্ধব উদ্যানতত্ত্ব প্রযুক্তি।
ইতিবাচক দিক: সবুজায়নের মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ।
ঝুঁকিপূর্ণ দিক: পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, প্রাথমিক স্থাপনার খরচ।
দক্ষতা অর্জনের উপায়: উদ্যানতত্ত্ব ও ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইনে উচ্চশিক্ষা, ভার্টিক্যাল গার্ডেনিং প্রশিক্ষণ, রিয়েল-টাইম প্রোজেক্টে কাজ করা।
এই পেশাগুলোর ইতিবাচক দিক হলো নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি। ঝুঁকিপূর্ণ দিকগুলো হলো প্রযুক্তির উচ্চ খরচ, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার অভাব। তবে, প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ, উচ্চশিক্ষা এবং ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে এই পেশাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।
৬. পরিবেশের উপর প্রকল্পটির প্রভাব নির্ণয়
এই প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই এবং দুষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সোলার প্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়, সবুজায়নের মাধ্যমে বায়ু পরিশোধন, এবং IoT এর মাধ্যমে দূষণ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে এবং দূষণ কমবে।
৭. সমাজ বা মানব কল্যাণে প্রকল্পটির ভূমিকা উপস্থাপন
এই প্রকল্প স্থানীয় সমাজ ও মানুষের জন্য উল্লেখযোগ্য উপকার বয়ে আনবে। নিম্নলিখিত উপায়ে এই প্রকল্পটি সমাজ ও মানব কল্যাণে ভূমিকা রাখবে:
শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি:
প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশের গুরুত্ব, সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং পরিবেশ বান্ধব আচরণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, এবং পরিবেশ সংরক্ষণে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা পালন করবে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো:
প্রকল্পের আওতায় বায়ুদূষণ, জলদূষণ, এবং মশার উপদ্রব কমানোর ফলে স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে। ফলে, শিক্ষার্থীদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, এলার্জি, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হ্রাস পাবে। পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত পরিবেশে মানুষ সুস্থ এবং কর্মক্ষম থাকবে।
নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি:
প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সৌরশক্তি প্রযুক্তিবিদ, IoT বিশেষজ্ঞ, ড্রোন অপারেটর, উচ্চমানের উদ্যানতত্ত্ববিদসহ অন্যান্য পেশায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বেকারত্বের হার কমবে।
পরিবেশ উন্নয়ন:
প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় সবুজায়ন বৃদ্ধি পাবে। গাছপালা রোপণ, ভার্টিক্যাল গার্ডেনিং, এবং জলাশয় সংরক্ষণের মাধ্যমে এলাকার পরিবেশ উন্নত হবে। এতে করে এলাকার বায়ু পরিশোধন হবে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ হবে, এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকবে।
পরিবেশবান্ধব মনোভাব গড়ে তোলা:
প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের মধ্যে পরিবেশবান্ধব মনোভাব গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তারা পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতন হয়ে উঠবে এবং পরিবেশের ক্ষতিকর কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। এতে করে সমাজে একটি টেকসই ও সবুজ পরিবেশের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন:
বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নত হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানও বৃদ্ধি পাবে। সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে পারবে। এছাড়া, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রেরণা সৃষ্টি হবে।
স্থানীয় সমাজের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততা:
প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততা থাকবে। তারা প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে নিজেদের পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে। এতে করে সমাজের একতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং একটি সমন্বিত পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন গড়ে উঠবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় সমাজ ও মানুষের জন্য একটি টেকসই এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, এবং পরিবেশ উন্নয়নে এই প্রকল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সবুজ প্রকল্প প্রস্তাবনা উপস্থাপন ইভেন্ট
ইভেন্টের নাম:
"সবুজ বিদ্যালয়, সবুজ পৃথিবী"
ইভেন্টের উদ্দেশ্য:
বিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকার পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা উপস্থাপন ও সচেতনতা বৃদ্ধি।
স্থান:
বিদ্যালয়ের মিলনায়তন
তারিখ:
০৩ জুলাই ২০২৪
সময়সূচি:
সবুজ প্রকল্প প্রস্তাবনা উপস্থাপন ইভেন্ট
সবুজ প্রকল্প প্রস্তাবনা উপস্থাপন ইভেন্ট
ইভেন্টের নাম: "সবুজ বিদ্যালয়, সবুজ পৃথিবী"
ইভেন্টের উদ্দেশ্য: বিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকার পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা উপস্থাপন ও সচেতনতা বৃদ্ধি।
স্থান: বিদ্যালয়ের মিলনায়তন
তারিখ: ১৫ জুলাই ২০২৪
সময় |
কার্যক্রম |
দায়িত্বপ্রাপ্ত |
৯:০০ - ৯:৩০ |
অতিথিদের অভ্যর্থনা ও নিবন্ধন |
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ |
৯:৩০ - ৯:৪৫ |
উদ্বোধনী সঙ্গীত |
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী |
৯:৪৫ - ১০:০০ |
স্বাগত বক্তব্য |
প্রধান শিক্ষক |
১০:০০ - ১০:৩০ |
প্রকল্প প্রস্তাবনার উপস্থাপনা |
প্রকল্প প্রধান |
১০:৩০ - ১০:৪৫ |
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন |
প্রযুক্তি দল |
১০:৪৫ - ১১:০০ |
চা-বিরতি |
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ |
১১:০০ - ১১:৩০ |
বিশেষ অতিথির বক্তব্য |
পরিবেশ বিজ্ঞানী |
১১:৩০ - ১২:০০ |
প্যানেল আলোচনা: প্রকল্পের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ |
প্যানেল সদস্যবৃন্দ |
১২:০০ - ১২:৩০ |
শিক্ষার্থীদের পরিবেশ বিষয়ক কার্যক্রম উপস্থাপন |
ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি |
১২:৩০ - ১:০০ |
প্রশ্নোত্তর পর্ব |
প্রকল্প দল |
১:০০ - ১:১৫ |
সমাপনী বক্তব্য |
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি |
১:১৫ - ২:০০ |
মধ্যাহ্ন ভোজ |
বিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া |
২:০০ - ৩:০০ |
সবুজায়ন কার্যক্রম (গাছপালা রোপণ ও পরিচর্যা) |
সকল অংশগ্রহণকারী |
৩:০০ - ৪:০০ |
শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমের কর্মশালা |
শিক্ষক ও উদ্যানতত্ত্ববিদ |
আয়োজনের বিবরণ:
অতিথি তালিকা: প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, স্থানীয় পরিবেশ বিজ্ঞানী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, অভিভাবক প্রতিনিধি, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
প্রদর্শনী: প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ, প্রজেক্টের চিত্র, প্রমাণ্যচিত্র, শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম।
কর্মশালা: শিক্ষার্থীদের জন্য বৃক্ষরোপণ, পুনর্ব্যবহার, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ।
গাছপালা রোপণ: বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও আশেপাশের এলাকায় গাছপালা রোপণ কার্যক্রম।
প্রশ্নোত্তর পর্ব: প্রকল্প নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অন্যান্য অতিথিদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান।
এই ইভেন্টের মাধ্যমে বিদ্যালয় ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং সবুজায়ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
সম্পূর্ণ সমাধানটি পিডিএফ পেতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com