৮ম শ্রেণির স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রশ্নের উত্তর ২০২৪ | Class 8 Wellbeing Half yearly Exam Question Answer 2024
Class 8 Wellbeing Half yearly Exam Question Answer
ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন-২০২৪
বিষয়: স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শ্রেণি: অষ্টম
সমাধান:
কাজ ১ (একক কাজ):
সাঁতারের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে এবং অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমি নিম্নলিখিত প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো করব:
সাঁতার প্রশিক্ষক নিয়োগ:
কারণ: সাঁতার শেখানোর জন্য একজন দক্ষ প্রশিক্ষক থাকা জরুরি, যাতে অংশগ্রহণকারীরা সঠিকভাবে সাঁতার শিখতে পারে এবং বিপদ এড়ানো যায়।
লাইফগার্ডের ব্যবস্থা:
কারণ: সাঁতারের সময় জরুরি পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্য লাইফগার্ড থাকা আবশ্যক, যাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে সাহায্য পাওয়া যায়।
সাঁতারের পোশাক ও সরঞ্জাম:
কারণ: সাঁতার করার জন্য উপযুক্ত পোশাক ও সরঞ্জাম যেমন সাঁতার ক্যাপ, গগলস, এবং লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা জরুরি, যাতে সাঁতার সহজ এবং নিরাপদ হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা:
কারণ: কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা কিট এবং একজন প্রাথমিক চিকিৎসক থাকা জরুরি।
সাঁতার প্রশিক্ষণ সেশন আয়োজন:
কারণ: অংশগ্রহণকারীদের সাঁতার শেখানোর জন্য আগেই প্রশিক্ষণ সেশন আয়োজন করা উচিত, যাতে তারা সাঁতার শিখে আত্মবিশ্বাসী হয় এবং বিপদ এড়াতে পারে।
পুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা:
কারণ: সাঁতারের জায়গার নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন পুলের গভীরতা, সিড়ি, এবং অন্যান্য সরঞ্জামের সঠিকতা পরীক্ষা করা জরুরি, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
কারণ: যারা সাঁতারে অংশগ্রহণ করবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি, যাতে তাদের কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা না থাকে যা সাঁতারের সময় বিপদ ঘটাতে পারে।
অংশগ্রহণকারীদের অভিভাবকদের সম্মতি:
কারণ: শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সম্মতি নেওয়া জরুরি, যাতে তারা জানেন এবং সম্মত থাকেন যে তাদের সন্তান সাঁতারের মতো কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
সাঁতার সম্পর্কিত নির্দেশিকা প্রদান:
কারণ: অংশগ্রহণকারীদের সাঁতারের নিয়মাবলী এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা প্রদান করা জরুরি, যাতে তারা সঠিকভাবে এবং নিরাপদে সাঁতার করতে পারে।
এই প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো সম্পাদন করলে সাঁতারের আয়োজন সুষ্ঠু এবং নিরাপদভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
কাজ ২: দলগত কাজের আলোচনা
আমাদের দল গঠনের পর, সাঁতারের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা নিজেদের কাজের তালিকা একে অপরের সাথে আলোচনা করলাম। নীচের বিষয়গুলো আলোকে আমরা আমাদের আলোচনা সম্পন্ন করেছি।
কী চিন্তা থেকে তারা নিজেদের কাজগুলো ঠিক করেছে?
1. অংশগ্রহণকারীদের তালিকা প্রস্তুত ও দক্ষতা যাচাই:
সাঁতারে অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং সাঁতারের সময় কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে।
2. প্রশিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ সেশন:
অংশগ্রহণকারীদের সাঁতার কাটার দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে।
3. সাঁতারের সরঞ্জাম:
সাঁতারের অভিজ্ঞতা উন্নত এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
4. লাইফগার্ড ও প্রাথমিক চিকিৎসা:
সাঁতারের সময় কোন দুর্ঘটনা হলে তৎক্ষণাৎ সহায়তা পাওয়ার জন্য।
5. জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা:
জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সহায়তা ও চিকিৎসা পাওয়ার জন্য।
6. নিরাপত্তা নেট ও পানির মান পরীক্ষা:
অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য।
অন্যরা যে কাজগুলোর তালিকা করেছে তার মধ্যে কোন কোন কাজের সাথে তুমি একমত? কারণ কী?
1. লাইফগার্ডের ব্যবস্থা:
কারণ: এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একজন অভিজ্ঞ লাইফগার্ড সাঁতারের সময় তৎক্ষণাৎ সহায়তা করতে পারে।
2. প্রশিক্ষণ সেশন:
কারণ: অংশগ্রহণকারীদের সাঁতারের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ সেশন প্রয়োজনীয়।
3. প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা:
কারণ: কোন দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সরঞ্জাম থাকা জরুরি।
কোনগুলোর সাথে একমত নও? কারণ কী?
1. নিরাপত্তা নেটের ব্যবস্থা:
কেউ কেউ মনে করে এটি প্রয়োজন নেই, কারণ সবাই সাঁতারের জন্য উপযুক্ত জায়গায় থাকবে। তবে আমি মনে করি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
2. সাঁতারের আগে পানির মান পরীক্ষা:
কেউ কেউ এটি অতিরিক্ত মনে করে, কিন্তু আমি মনে করি এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রস্তুতির কাজগুলো করতে কারো সহযোগিতার প্রয়োজন আছে কী? কার?
1. প্রশিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ সেশন:
বিদ্যালয়ের সাঁতার প্রশিক্ষকের সহায়তা প্রয়োজন।
2. লাইফগার্ডের ব্যবস্থা:
স্থানীয় সাঁতার ক্লাব বা উদ্ধারকারী সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন।
3. প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা:
বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তা প্রয়োজন।
4. নিরাপত্তা নেটের ব্যবস্থা:
স্থানীয় সাঁতার ক্লাবের সহায়তা প্রয়োজন।
জরুরী প্রয়োজনে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য কী করা যেতে পারে?
1. জরুরি যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা:
বনভোজনের স্থান থেকে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগের নম্বর হাতে রাখা।
2. প্রাথমিক চিকিৎসা দল গঠন:
শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা দল গঠন করা।
3. বাহিরের সহযোগিতা:
স্থানীয় সাঁতার ক্লাব বা উদ্ধারকারী সংস্থার সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
এভাবে, আমরা দলগতভাবে আলোচনা করে সাঁতারের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পাদন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এতে আমাদের সবার সহযোগিতা এবং শিক্ষকদের নির্দেশনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কাজ ৩ (একক কাজ)
নিজের জায়গায় ফিরে গিয়ে, আমাদের দলের আলোচনা থেকে নতুন বিষয়গুলো সম্পর্কে নতুন জ্ঞান অর্জন করেছি। এটি আমার কাজে কী ভূমিকা রাখবে তা নির্ধারণ করার জন্য আমি একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছি:
দলের আলোচনা থেকে নতুন বিষয়গুলো:
- প্রতিদিনের পর্বে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সক্ষম করতে সুরক্ষা ব্যবস্থা।
- প্রতিদিনের পর্বে অংশগ্রহণকারীদের সহায়তা ও অভিজ্ঞ লাইফগার্ডের নিয়োগ এবং তাদের সম্পর্কে সক্রিয় অবদান।
- প্রতিদিনের পর্বে অংশগ্রহণকারীদের সক্ষম করতে সুরক্ষা ব্যবস্থা।
আমার ভূমিকা প্রস্তুতিতে:
- আমার দায়িত্ব হবে প্রতিদিনের পর্বে অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, যেটি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
- লাইফগার্ডের সহায়তা ও অনুপ্রাণিত করা যাবে এবং প্রতিদিনের পর্বে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে এবং সাঁতার অঙ্গনে সক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হতে হবে।
- ইভেন্ট শুরুর আগে পানির গুণমান এবং নিরাপত্তা মাপনের জন্য পরীক্ষা করতে হবে।
কাজ ৪ (একক কাজ)
বনভোজনের দিনে সবার জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে আমি তাদেরকে নিম্নলিখিত বিষয়ে সচেতন করতে চাই:
খাবারের স্বাস্থ্যসম্মততা: আমরা সবাই জানি যে খাবার কোনভাবে আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই বনভোজনের জন্য খাবারের স্বাস্থ্যসম্মততা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কড়াইতে কাটা শাক সবজি ধুয়ে এবং পরিষ্কারভাবে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ যাতে কোনও প্রকারের ব্যাকটেরিয়া খাবারে প্রবেশ না করে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।
পানির মান এবং পরিমাণ: খাবারের তৈরির সময়ে ব্যবহৃত পানির মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পুরোপুরি শুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে যাতে কোনও জীবাণু খাবারে ঢুকে ক্ষতিকর হতে না পারে।
হাতের পরিষ্কারভাবে ধোয়া: খাবার প্রস্তুতিতে হাতের পরিষ্কারভাবে ধোয়া অত্যন্ত জরুরি। হাতের অপরিষ্কারতা থেকে শাক সবজি কাটলে তা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য হতে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রতিটি খাবার প্রস্তুতিতে হাত পরিষ্কারভাবে ধুয়ে সম্ভবত যে সহায়ক হতে হবে।
আমি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করতে চাই কারণ আমি তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে গুরুত্ব দিচ্ছি। বনভোজনের সময় খাদ্য নিরাপত্তা মেনে চললে সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারবেন এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
কাজ ৫ (একক কাজ)
মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনার জন্য বন্ধুকে তুমি কী পরামর্শ দেবে?
বন্ধুকে মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনার জন্য আমি নিম্নলিখিত পরামর্শগুলো দেব:
1. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
2. ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ: বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিলে কাজের চাপ কমে যায়।
3. ইতিবাচক চিন্তা: নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং ইতিবাচক চিন্তা করা।
4. বিশ্রাম নেওয়া: কাজের মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা।
5. মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম: নিয়মিত মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
6. বন্ধু ও পরিবারের সাথে কথা বলা: নিজের অনুভূতিগুলো শেয়ার করা এবং তাদের কাছ থেকে সমর্থন নেওয়া।
এই পরামর্শ তাকে কীভাবে সাহায্য করবে বলে তুমি মনে কর?
এই পরামর্শগুলো বন্ধুকে নিম্নলিখিতভাবে সাহায্য করবে:
1. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: এটি তার মানসিক চাপ কমিয়ে তাকে শান্ত করবে।
2. ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ: কাজগুলো সহজ মনে হবে এবং সে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।
3. ইতিবাচক চিন্তা: তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং কাজের প্রতি ভয় কমে যাবে।
4. বিশ্রাম নেওয়া: তার শরীর ও মন উভয়ই সতেজ থাকবে, যা কাজের দক্ষতা বাড়াবে।
5. মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম: তার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
6. বন্ধু ও পরিবারের সাথে কথা বলা: সে মানসিক সমর্থন পাবে এবং একাকীত্ব অনুভব করবে না।
তোমার কী মানসিক চাপ হয়? কখন?
হ্যাঁ, আমারও মাঝে মাঝে মানসিক চাপ হয়। সাধারণত নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে আমার মানসিক চাপ হয়:
1. পরীক্ষার সময়: পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং ফলাফল নিয়ে চিন্তা করলে।
2. নতুন কাজ শুরু করার সময়: নতুন কাজ বা প্রকল্প শুরু করার সময়।
3. সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারলে: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে।
4. ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে: ব্যক্তিগত জীবনের কোনো সমস্যা থাকলে।
এই পরামর্শগুলো আমি নিজেও প্রয়োগ করি এবং তা আমাকে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আশা করি, আমার বন্ধু এই পরামর্শগুলো মেনে চললে তার মানসিক চাপও কমে যাবে।
কাজ ৬ (জোড়ায় কাজ)
কোন কোন কাজ বা কৌশলগুলো ইতিবাচক? কয়েকটি উদাহরণ লিখ।
1. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
2. ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ: বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিলে কাজের চাপ কমে যায়।
3. ইতিবাচক চিন্তা: নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং ইতিবাচক চিন্তা করা।
4. বিশ্রাম নেওয়া: কাজের মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা।
5. মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম: নিয়মিত মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
6. বন্ধু ও পরিবারের সাথে কথা বলা: নিজের অনুভূতিগুলো শেয়ার করা এবং তাদের কাছ থেকে সমর্থন নেওয়া।
তোমার উল্লেখ করা নেতিবাচক কাজ বা কৌশলগুলো শরীরে ও মনে কী ধরণের প্রভাব ফেলে?
1. অতিরিক্ত চিন্তা করা: অতিরিক্ত চিন্তা করলে মানসিক চাপ বাড়ে এবং ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
2. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: মানসিক চাপের সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীরের ওজন বাড়ে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
3. অ্যালকোহল বা ধূমপান: মানসিক চাপ কমানোর জন্য অ্যালকোহল বা ধূমপান করলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
4. অলসতা: মানসিক চাপের সময় অলসতা করলে কাজের চাপ আরও বেড়ে যায় এবং আত্মবিশ্বাস কমে যায়।
5. নেতিবাচক চিন্তা: নেতিবাচক চিন্তা করলে মানসিক চাপ আরও বেড়ে যায় এবং আত্মবিশ্বাস কমে যায়।
মানসিক চাপের পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে কার কাছে সহযোগিতা পাওয়া যেতে পারে?
1. বন্ধু ও পরিবার: মানসিক চাপের সময় বন্ধু ও পরিবারের সাথে কথা বলে মানসিক সমর্থন পাওয়া যায়।
2. শিক্ষক বা মেন্টর: শিক্ষকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে মানসিক চাপ কমানো যায়।
3. মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ: প্রয়োজন হলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
4. সহকর্মী বা সহপাঠী: কাজের চাপ কমানোর জন্য সহকর্মী বা সহপাঠীর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
5. অনলাইন সাপোর্ট গ্রুপ: বিভিন্ন অনলাইন সাপোর্ট গ্রুপে যোগ দিয়ে মানসিক সমর্থন পাওয়া যায়।
কাজ ৭: একক কাজ
১. বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া নতুন ইতিবাচক কৌশল
বন্ধুদের সাথে দলগত আলোচনা থেকে প্রাপ্ত কিছু নতুন ইতিবাচক কৌশল যা পরবর্তীতে মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করতে চাই:
1. ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন: প্রতিদিন ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করা।
2. সময় ব্যবস্থাপনা: কাজের তালিকা তৈরি করা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো প্রথমে সম্পন্ন করা।
3. সৃজনশীলতা চর্চা: নতুন শখ বা সৃজনশীল কার্যকলাপে নিজেকে ব্যস্ত রাখা, যেমন: আঁকাআঁকি, সঙ্গীত, বা লেখালেখি।
4. প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো: মাঝে মাঝে প্রকৃতির মাঝে হাঁটা বা বনভোজন করা।
5. নেতিবাচক চিন্তা প্রতিস্থাপন: নেতিবাচক চিন্তাকে ইতিবাচক চিন্তায় প্রতিস্থাপন করা এবং আত্মনির্ভরশীলতার চর্চা করা।
২. এই কৌশলগুলো ব্যবহারের ফলে জীবনে সম্ভাব্য ফলাফল
এই কৌশলগুলো ব্যবহারের ফলে জীবনে যেসব ফলাফল আসবে বলে মনে করি:
1. মানসিক স্থিতি ও শান্তি: ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন মানসিক স্থিতি এবং শান্তি আনবে।
2. উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতার কারণে কাজের উৎপাদনশীলতা ও সফলতা বৃদ্ধি পাবে।
3. সৃজনশীলতা ও আনন্দ: নতুন শখ ও সৃজনশীল কার্যকলাপ মনের প্রশান্তি এবং জীবনে আনন্দ যোগ করবে।
4. শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা: প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করবে।
5. ইতিবাচক মনোভাব: নেতিবাচক চিন্তা প্রতিস্থাপন মানসিক চাপ কমিয়ে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলবে।
৩. নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মানসিক চাপ নিয়ে সকলের জানা প্রয়োজন এমন ৩টি মেসেজ
1. "পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং সময়মত ঘুমান আপনার মস্তিষ্ক ও শরীরকে পুনরুজ্জীবিত রাখতে ঘুম অপরিহার্য।"
2. "নিয়মিত ব্যায়াম করুন শরীর চর্চা মানসিক চাপ কমিয়ে শরীর ও মনকে সজীব রাখে।"
3. "নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন ইতিবাচক চিন্তা ও আচরণ মানসিক শান্তি ও স্থিতি নিশ্চিত করে।"
এভাবে, মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা ও ইতিবাচক কৌশলগুলি প্রয়োগের মাধ্যমে নিজের জীবনকে আরও সুস্থ ও সুখী করা সম্ভব।
নিত্য নতুন সকল আপডেটের জন্য জয়েন করুন
If any objections to our content, please email us directly: helptrick24bd@gmail.com